নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : কাকের কন্ঠ বেশ কর্কশ এবং কঠোর। আর এ কারণেই পাখিদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা খুবই নগণ্য। তবে কাকের ডাকে ঘুম ভাঙে সহজেই। নারায়ণগঞ্জেই এমন এক গ্রাম রয়েছে, যেখানে হাজারো কাকের সম্মিলিত ডাকে সবারই ঘুম ভাঙে!
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কামশাইর গ্রাম। যুগ যুগ ধরে গ্রামটিতে বহু কাকের বসবাসের কারণে (কাকের গ্রাম) হিসেবে পরিচিত। গ্রামটির সর্বত্র বাঁশঝাড় আর বড় বড় গাছে ভরপুর। সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে কাক এসে আশ্রয় নেয়। পুরো গ্রাম সকাল-সন্ধ্যা ওদের ডাকে থাকে মুখর।
গ্রামটিতে সকাল বেলা ঝাঁক বেঁধে কাক আহারের উদ্দেশ্যে নেমে পড়ে। আর গোধূলি বেলায় আপন নীড়ে ফিরে যায়। একটা সময় বিরক্ত মনে হলেও এখন কাকের ডাকেই গ্রামের প্রায় সবারই ভাল লাগে। গ্রামটিতে এমন দৃশ্য দেখতে সকাল-বিকেল ভিড় জমান আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসা বিভিন্ন বয়সের পাখিপ্রেমীরা। সন্ধ্যায় পুরো এলাকা আন্দোলিত হয় কাকের কা-কা-কা শব্দে। আবার সকালের ঘুম ভাঙে কাকের কোলাহলে।
এ গ্রামে বাস করা পাখি প্রেমিক বিল্লাল হোসেন বলেন, কাকগুলোকে আমরা দেখেশুনে রাখি। তাদের প্রতি কোনো ধরনের অমানবিক আচরণ করা হয় না। কাউকে তাড়াতে দেই না। শিকারীমুক্ত গ্রামটিতে পাখি ধরা ও মারা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ফরিদ মিয়া বলেন, ছোট বেলা থেকেই কাকগুলো দেখে আসছি। এগুলো মাঝেমাঝে ঘরেও চলে আসে। তখন এদের খাবার তুলে দেই। দেখতে খুবই ভালো লাগে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাক খুবই শুচিবাইগ্রস্ত পাখি। এরা নোংরা-আবর্জনার মধ্যে বসবাস করলেও সারাক্ষণ পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে।