নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে মেডিপ্লাস নামের প্রতিষ্ঠান। একের পর এক ভুল চিকিৎসা প্রথায় রোগীদের জন্য এখন আতংকের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এটি। এরপরেও এসব অপকর্মের নানা ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই চলমান রয়েছে সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অদৃশ্য কারণে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনে নির্বিকার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
এবার শহরের কালিরবাজার নবাব সিরাজউদৌল্লা সড়কের মেডিপ্লাস মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড জেনারেল হাসপাতালে জরায়ু অপারেশন করতে এসেছিলেন বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের র্যালিবাগান এলাকার মঞ্জরুল ইসলামের স্ত্রী ডালিয়া আক্তার (৪০)।
কিন্তু ডাক্তার শুধু যে জরায়ুর অপারেশন করেছেন তা কিন্তু নয় অপারেশনে রোগীর রেকটামের (মলদ্বারের অনেক গভীরের একটি স্থানের নাম রেকটাম) কিছু অংশ কেটে ফেলেছেন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে হাসপাতালের ডা.কামরুন্নাহারের তত্ত্বাবধানে অপারেশনের সময় এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রোগীর স্বজনরা টের পেলে সেখান থেকে কেটে পড়েন ডাক্তার কামরুন্নাহার। এঘটনায় হাসপাতাল কর্তপক্ষের সাথে তুমুল বাকবিতন্ডা চলে রোগীর স্বজনদের সাথে।
রোগীর স্বজন কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা মূলত আমাদের রোগীকে তাঁর জরায়ু অপারেশনের জন্য এখানে এনেছিলাম। কিন্তু অপারেশনে ভুল করে ডাক্তার সেখান থেকে সটকে পড়েছেন। সেখানে তখন আরেক ডাক্তার এসে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। আরেক ডাক্তার এসে বলছে দুই মাস পর আবার অপারেশন করতে হবে।
অপারেশনে সহকারী হিসেবে থাকা ডা.আব্দুল্লাহ আল সাদ বলেন, আমি সেখানে এসিট্যান্ট হিসেবে ছিলাম। অপারেশনের সময় এই ভূলটি হয়। আপাতত রোগীকে দেড় মাস নল ব্যবহার করে মলত্যাগ করতে হবে। পরে আরেকটি অপারেশন করলে সমস্যাটির সমাধান হবে।
ভুল অপারেশরেন পর ডা.কামরুন্নাহার সটকে যাওয়ার পর অপারেশন থিয়েটার (ওটি) রূমে আসেন ডা.ইফতেখার আলম সাগর। তিনি বলেন, ভুলবশত এমনটি ঘটেছে। রোগীর রেকটামের কিছু অংশ কেটে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে রোগীর সুষ্ঠুর সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।
এটা একটি অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। মলদ্বারের অনেক গভীওে য স্থানটির নাম রেকটাম সেখানে কোন ব্যথার অনুভূতি নেই। তাই এই অপারেশনের পর কোনরূপ ব্যথা হয় না। তবে মলদ্বারে কিছু নাড়াচাড়া করা হয়, যার ফলে অপারেশনের পর অল্প ব্যথা হতে পারে।