নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে মেরিন ও শীপবিল্ডিং শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ২২ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্দর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্ধীরা।
গত ১৯ মে থেকে শুরু হওয়া এ শাটডাউন কর্মসূচী চতূর্থ দিনের মত চলমান রয়েছে। এছাড়াও দাবী মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়ে ঢাকা ঘেরাও করার কথা জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, ফরিদপুর এবং বাগেরহাটে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে সোমবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ৬টি জেলায় অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের বিভিন্ন মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়ে বের হলেও, তাদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। উপযুক্ত নিয়োগ নীতিমালা ও প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন ছাড়া তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
তারা আরো জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে এ আন্দোলন ঢাকা পর্যন্ত যাবে।
এসময় প্রতিষ্ঠানচিকে ৭ম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মো. সাদ বলেন, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেকারত্ব তৈরি করে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার থেকে না থাকা অনেক ভালো। আমরা যদি এই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে ভবিষ্যতে অন্য কোনো চাকুরী সন্ধান করতে হয় তাহলে এ প্রতিষ্ঠানের এই নাম মুছে ফেলাই ভালো।
জানা যায়, যৌক্তিক ৩টি দাবি নিয়ে গত ১৭ মে প্রথমে স্মারক প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। পরে অর্ধ ক্লাস বর্জন করার পর দাবি না মানায় সম্পূর্ণ ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর ইনস্টিটিউট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তারা।
এদিকে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণার পর ২১ মে বিএমইটির এডিজি বন্দরে ইনস্টিউট পরিদর্শনে এসেছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তিনি আশ্বাস দেন আগামী ২৫ মে মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে সকল সমস্যার সমাধান দেওয়া হবে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি নারায়ণগঞ্জ বন্দরের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোছাঃ শরিফা সুলতানা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম।
তবে এ বিষয়ে জানতে ২২মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে অপেক্ষা করলেও অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবি তিনটি হলো, ১। মেরিন ও শীপবিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের সমুদ্রগামী জাহাজের যোগদানের জন্য অনূর্ধ্ব ৬ মাসের প্রি-সী ট্রেনিং এর মাধ্যমে অফিসার ক্যাডেট সিডিসি প্রদান করতে হবে, ২। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অধীনস্থ ইঞ্জিন ও মেশিন সংশ্লিষ্ট বিভাগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে মেরিন ও শীপবিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ বিধান চালু করতে হবে এবং ৩। প্রশিক্ষণের মান উন্নত করতে হবে।