নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ শহরের নং রেল গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাত করে সুমন ঢালী (৩০) নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। ৩ই আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বোন সুবর্ণা বলেন, আমার ভাই নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ নম্বর রেল গেইট এলাকায় কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পথচারীরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার ভাইয়ের বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের সুমনের বন্ধু জামাল হোসেন জানান, সুমন ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করতো। চলমান লকডাউনের কারণে তিনি বেকার হয়ে পড়েন। তবে অভাব অনটনের কারণে কাজের সন্ধানে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতেন। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় বাসা থেকে বের হন। বিকাল ৩টার সময় শহরের নং রেল গেইট এলাকায় কে বা কাহারা তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে সুমনের নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। খবর পেয়ে আহত সুমনের বন্ধু জামাল হোসেন সুবর্ণাসহ নিকট আত্মীয় স্বজনরা এসে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সুমনের বোন সুবর্ণা আরো জানান, আমাদের বাসা নারায়ণগঞ্জ সদরের দেওভোগ পাকা রোড এলাকায়। আমার বাবার নাম আব্দুর রহিম ঢালী। সুমন ভাই বিবাহিত। তার  স্ত্রী  সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত সুমনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্ত সম্পন্ন হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বিষয়ে  সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজামাল বলেন, সুমন নামে ছুরিকাহত এক যুবককে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকা থেকে সদর জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুনে আমরা খোঁজ খবর নেয়া শুরু করি। আমাদের খোজ খবর নেয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত