নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বিএনপির দুঃসময়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচনে যখন গুরুতপূর্ণ পদে থাকা নেতারা যখন দলীয় সমর্থন নিতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। ঠিক সে সময়ে দুঃসময়ের কান্ডারী হয়ে ধানের র্শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন এড.এস.এম মাহমুদুল হক আলমগীর। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৫টি পরিষদেই বিএনপির প্রার্থীরা বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে সরকার দলীয় নেতাদের সাথে আতাঁত করে নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। তাই এবারের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সমর্থিত একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আলমগীরকে নির্বাচনে বিজয়ী করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য ঘোষনা দিয়েছেন।
আগামী ২৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর, আলীরটেক, কাশীপুর, বক্তাবলী, কুতুবপুর, এনায়েত নগর এবং রূপগঞ্জ উপজেলাধীন ভুলতা, গোলকান্দাইল, কায়েত পাড়া, ভোলাবো, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এদিন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। তারই ধারাবাহিকতায় ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নিবার্চনে অংশ গ্রহণ করার জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি থেকে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু সরকার দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের সাথে আতাঁত করে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপির প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা কয়েকটি উপজেলায় নির্বাচিত হয়ে রয়েছেন।
এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী এড.এস.এম মাহমুদুল হক আলমগীর বলেন, আমি ৩০ বছর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, দল থেকে সমর্থন দিয়ে আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, দেহে শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে আমি দলের সম্মান রক্ষা করে যাবো। আমি জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। যত হুমকি ধমকি আসুক না কেন নির্বাচনী লড়াইয়ের শেষ দৃশ্য পযর্ন্ত আমি মাঠে থাকবো। আমি বিশ্বাস করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পতাকা তলে আমার জেলার নেতৃবৃন্দদের সহযোগীতায় সম্মান পেয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারাও আমাকে তাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। মিত্যু ছাড়া আল্লাহ রহমতে কেউ আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবেনা। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমি জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বাকী ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদ-পদবির অধিকারী নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর কারনে তৃনমূল থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। এছাড়াও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টু দলীয় সমর্থন নিতে অনিহা প্রকাশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের কারণে তৃনমূলে চলছে সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয় তৃনমূল নেতাকর্মীরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আতাঁত চালাচ্ছে দলের কিছু নেতারা। দলের মধ্যে থেকে যারা নতুন বৌ এর মত ঘাপটি মেরে বসেছিলো। দলের দুঃসময়ে সেই সকল বৌয়েরা ঘোমটা খুলে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াছে সাথে সাথে সকলের কাছে তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে। এ সকল বৌ-র্মাকা নেতারা কখনো দলের মঙ্গলজনক কর্মকান্ডে কাজ করে নাই। কিন্তু বড় বড় বুলি ছাড়তেও দ্বিধা করেনি, আজ তারা সকল নেতাদের কাছে পরিচিত। দলের সু-সময়ে তারা আবারো যদি বিএনপির ছাতা তলে নিলজ্জের মত আসে, তাদেরকে কোন ঠাঁই দেয়া হবে না। কারণ কাঠের আসবাবপত্র নষ্ট করতে যেমন একটা ঘুন পোকাই যথেষ্ঠ ঠিক তেমনিই দলের সাংগঠনিক অবস্থা দূর্বল করার জন্য নিলজ্জ একটা নেতাই যথেষ্ঠ। তাই দলের এই বিষফোড়াদের সরিয়ে দিতে হবে, নতুবা ভবিষ্যত্বে এই সরকারী দালালদের জন্য দলের অনেক ক্ষতি হবে। আর যারা দলের দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলো অবশ্যই দল তাদের মূলায়ন করবে।