নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : দেড় লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে নকল স্বর্ণের গহনা দিয়ে বিয়ে করতে এসে গনপিটুনি খেয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে প্রতারক বর মো. হৃদয় মিয়া (২০)। গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নস্থ নয়মাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিয়ে পন্ড হয়ে যাওয়ার পর সালিশ বৈঠকে বর পক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন গ্রাম্য মাতবরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নয়ামাটি এলাকার আলম মিয়ার কন্যা ইতি আক্তার (১৮) সাথে পাশ্ববর্তী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তাজপুর এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের বিয়ে ঠিক হয় ঘটকের মাধ্যমে। বিয়েতে কন্যাকে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়ার কথা বলে কনে পক্ষ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে হাতিয়ে নেয় বর পক্ষ। এবং বিয়ের দিন ধায্য করা হয় গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার। ২৫ অক্টবর শুক্রবার বিয়েতে বর পক্ষ লোকজনদের খাওয়া দাওয়া শেষে বিয়ে কাবিন করতে কাজী কাছে উপস্থিত হয়। বিয়ে পড়ানোর মুহুর্তে স্বর্ণলংকার দেখতে চান কনে পক্ষের আতœীয়স্বজনরা। বিয়ের র্শত মোতাবেক ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা বের করে দেন বর পক্ষের লোকজন।
তবে গহনা নকল বলে চিহিৃত করেন কনের আত্নীয় স্বজনরা এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। পরবর্তীতে স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে স্বর্ণ পরিক্ষা করলে সবগুলো গহনা নকল এবং স্বর্ণের তৈরী না বলে জানিয়ে দেয় স্বর্ণকার। পরে এলাকাবাসী ও কনের আত্নীয়-স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠে বর এবং ঘটককে গনপিটুনি দিয়ে বিয়ে পন্ড করে দেয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ে বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের গ্রাম্য মাতবরা। সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যেকার অভ্যন্তরীন সকল দেনা পাওনা কনে পক্ষের ক্ষতি পূরণ বাবদ বর পক্ষকে আগামী ৪০ দিনের মধ্যে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন দেওয়ার র্নিদেশ দেওয়া হয়। সালিশ বৈঠকের পর রাতে বর প্রতারক হৃদয় বউকে না নিয়ে একা বাড়ি ফিরে যায়। এ ঘটনায় মুছাপুর ও ধামগড় দুই ইউনিয়নবাসীসহ উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।