নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৪ মাসের শিশু তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজের ছয়দিন পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ফতুল্লা বক্তাবলী এলাকার চর মধ্যনগর এলাকার মো. সোহেল স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩০), তার মেয়ে তাসমিম আক্তার (১৬), ছেলে তামিম (৭), ১৪ মাসের মেয়ে তাসফিয়া, একই এলাকার রাজু সরকারের ছেলে কলেজ ছাত্র সাব্বির হোসেন (১৮) ও বক্তাবলী হাজিপাড়া এলাকার জোসনা বেগম (৪৫), বক্তাবলীর গোপাল নগর এলাকার মোতালেব মিয়া (৪০), আওলাদ হোসেন (৩২) ও ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ ডলিপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মো আব্দুল্লাহ্ (৩০)।
নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরফীন জানান, ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। আগামীকাল থেকে তদন্ত শুরু করব।
উল্লেখ্য, গত ৫ই জানুয়ারি বুধবার সকালে যাত্রীবাহী ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান–৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের। পরে ৯ই জানুয়ারি রবিবার ৬ জনের এবং ১০ই জানুয়ারি সোমবার আরো ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ–নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ–পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এম ভি ফারহান–৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানি সহ ৩জনের বিরুদ্ধে দায়ীত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
পরবর্তীতে তাদেরকে গ্রেফতারও করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান–৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লার (৩০)। তাদের দায়ীত্ব অবহেলার কারণেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।