দেওভোগে ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা মামলায় ১০দিন পেরুলেও অধরা অভিযুক্তরা !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজম্ব সংবাদ দাতা) : নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এবং ৫ লক্ষ টাকা দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লি. মার্কেট এর নিউ ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রো প্লাজার স্বত্ত্বাধিকারী মামুন আল রশিদ। গত সোমবার (৯ নভেম্বর) নগরীর ৩০১ আলী আহম্মেদ চুনকা সড়ক পশ্চিম দেওভোগ এলাকাস্থ এ ঘটনায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার স্নিগ্ধ বাদি হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেছে, যার নং ২৩। তবে এ ঘটনার ১০দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অভিযুক্তরা এখনো অধরা রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেছে আহতের স্ত্রী খায়রুন নাহার স্নিগ্ধ।

জানা গেছে,  পশ্চিম দেওভোগ এলাকাস্থ মায়ের দেয়া বাদি স্নিগ্ধ এর ৪ শতাংশ জমি রয়েছে। সাত বছর আগে এ জমিটি তাকে দেয়া হলেও ওইসময় আর্থিক জটিলতার কারণে বাড়ি নির্মাণে এগুতে পারেনি। তবে এ বছরের প্রথম দিকে বাড়ি র্নিমাণে কাজ ধরলে অভিযুক্ত বিবাদী কাদের মাহাবুব খান বাবু (৫৮), কাউসার ইকবাল খান মাসুম (৪৯) উভয় পিতা মৃত.হাজী মোহাম্মদ আালী খান। উল্লেখিত একই এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও পুরানো বন্দর মোল্লা বাড়ির মৃত. নুরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লা  (৫৫) সহ ৭/৮ জন বাদি স্নিগ্ধার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। নতুবা বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ, পানির সংযোগ করিতে দিবে না বলে হুমকী দিতো।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৯ নভেম্বর) ঘটনাস্থলে বাদি স্নিগ্ধার স্বামী মামুন আল রশিদকে সাথে নিয়ে জমি পরির্দশনে গেলে দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বিকৃতী জানালে বিবাদীরা অনাধিকার প্রবেশ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ১নং বিবাদী রড দিয়ে পিছন দিক থেকে মামুনের মাথায় আঘাত করে এবং ২নং বিবাদী বাশঁ উঠিয়ে শরীরে পিটায়। এছাড়া বাদিকেও মাটিতে ফেলে দিয়ে শ্লীলতহানী ও পেটে লাথি মারে, ওইসময় ৩নং বিবাদী বাদির কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাাতালে নেয়া হলে ব্যবসায়ী মামুনের মাথায় ১৬ টি সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত মামুন কে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শামিম জানান, আমরা আসামীদের ধরতে চেষ্টা করছি। তবে আমরা বিভিন্ন কাজের ব্যস্ত থাকায় বিলম্ব হয়ে যায়। তাই বাদি পক্ষের সহযোগীতা চাই। তিনি যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আসামীদের ধরতে সহযোগীতা করে খুব শিঘ্রই ধরতে সক্ষম হবো।

add-content

আরও খবর

পঠিত