নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : বিদ্যালয় হচ্ছে মানুষ গড়ার একটি কারখানা আর জাতির সেই আলোকিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যদি জোরপূর্বক ভুমিদস্যু ও দূর্নীতিবাজরা দখল করে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে তাহলে এখান থেকে ভালো মানের শিক্ষা জাতি কি কখনো আশা করতে পারে?। বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মনে এমনি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক ক্ষোভের সাথে বলেন, শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর পর পর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও বর্তমান কমিটিতে থাকা প্রভাবশালী ভূমিদস্যু, দূর্নীতিবাজরা এ বিদ্যালয়ের নির্বাচন হতে দিচ্ছেনা। সিন্ডিকেডের মাধ্যমে ভূমিদস্যু দূর্নীতিবাজরা বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়টি জবর দখল করে আছেন। দূর্নীতিবাজদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায়না।
নিয়ম অনুসারে একমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাই নির্বাচনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরিচালনা করতে পারবেন। অথচ বর্তমানে থাকা অনির্বাচিত কমিটির কারো সন্তানই এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না, তারপরও তাঁরা এ বিদ্যালয়ের মাতব্বর।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ.কে.এম কুতুবউদ্দিন খাঁন বেশ কয়েকবার নির্বাচনের প্রস্তÍুুতি নিলেও অনির্বাচিত কমিটির দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেডের নানা বাধাঁর কারনে এ বিদ্যালয়ের নির্বাচন হতে বিলম্ব হচ্ছে। একপর্যায় সকল বাধাঁ পেরিয়ে বেসরকারি শিক্ষা নীতিমালা অনুসারে ১৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় অফিস কক্ষে এক জরুরী সভা ডেকে সভাপতি কুতুবউদ্দিন খাঁন আগামী ১৫ নভেম্বর বন্দর শিশুবাগ নির্বাচন এর তফসিল ঘোষণা করেন। সে মিটিংয়েও অবৈধ কমিটির নেতারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রত্যাহারের জন্য সভাপতিকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগসহ মিটিংয়ে হৈচৈ হট্টগোাল করেন। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি অবৈধ কমিটির দূর্নীতিবাজদের দৌড়াত্ব । শুরু করে নির্বাচন বানচালের নানা অপকৌশল।
সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি রিট করে নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখলেন অবৈধ কমিটির নেতৃবৃন্দরা। নির্বাচন আবারও স্থগিত হওয়া হতাশ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের সাধারণ ভোটাররা। অভিভাবক ভোটাররা হতাশার সাথে বলেন, তাহলে কি আবারও দূর্র্নীতিবাজ সিন্ডিকেডের কাছে চলে গেল বন্দরে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়।
এই দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেডের হাত থেকে বন্দরে সুনাম ধন্য এ বিদ্যাপাঠটি রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা উর্ধতন শিক্ষা কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষিত সমাজ।