দাঁড়ি টুপি দেখলেই জামায়াত মনে করবেন না এমপি সেলিম ওসমান

নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪.কম (বন্দর প্রতিনিধি): নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমান বলেছেন, বিএনপি জামায়াত ছাড়লে দেশের জনগণ তাদের সমর্থন করত। মানুষ মেরে জনগণের আস্তা অর্জন করা যায় না। বন্দরের উন্নয়নে কোন রাজনীতি নেই। বন্দরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টির সকলেই মিলে উন্নয়ন কাজে একমত। শীতলক্ষ্যা সেতুর ফাইল বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আবার তার সৌদি আরকে পাঠানো হয়েছে। আগামী মাসে শীতলক্ষ্যা সেতুর টেন্ডার হবে এবং ২ মাস পরেই শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ শুরু হবে। শান্তির চরের ৫০ একর জমি ভ্যাবজার কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। আরও ৫০ একর জমি হস্তান্তরের প্রক্রীয়া চলছে। মোট ১৫০ একর জমি লাগবে শান্তি চরে শিল্পায়ন করতে। তার দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পকে অগ্রধিকার ভিত্তিতে নিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় বন্দরের মীরকুন্ডি এলাকায় সামসুজ্জোহা স্কুলের সামনে নয়াগাঁও থেকে মুছাপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন। সামসুজ্জোহা এমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মহিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশিদ, জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজমীন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, আলেয়া বেগম, নাসিক ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন সাজনু, প্রকৌশলী আতাউর রহমান, জাতীয়পার্টি নেতা,  শিহাব উদ্দিন , বন্দর থানা শ্রমিকপার্টির সভাপতি ইকরামুল ইসলাম লিটন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এম এ সাগর, সিরাজুল ইসলাম, মঞ্জুর মেম্বার. আলম মেম্বার, প্রধান শিক্ষক এরশাদ উল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা আলাফাত কবির ফাহিম প্রমুখ।  উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, এমপি সেলিম ওসমান বন্দরের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ। তিনি বন্দরের উন্নয়নের জন্য সরকারের দিকে চেয়ে না থেকে নিজ তহবীল থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। তাই আমি বিরোধী দলের লোক হয়েও তার পাশে আছি বন্দরের উন্নয়নের জন্য। আমি তার সুস্বাস্থ কামনা করি। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, ৭৫ এর আগে সাত্তার ভ’ইয়া ছিলেন আমাদের অভিবাবক। তিনি বিএনপিতে যোগদান করার পর আমরা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে অভিবাবক ঞীনতায় ভ’গছিলাম। তখন এ কে এম সামসুজ্জোহা আমাদের অভিবাবক হয়ে বন্দর-নারায়ণগঞ্জের হাল ধরেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে প্রয়াত সাবেক এমপি আলহাজ্ব নাসিম ওসমান হাল ধরে ছিলেন এবং বন্দরের ১৫ লাখ লোকের নেতৃত্বে দেন। তিনি জাতীয়পার্টি করলেও কোন দলের এমপি ছিলেন না। তিনি বন্দরের সকলের আস্তা অর্জন করে সকল দলের এমপি হিসেবে গৌরব অর্জন করেছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আবার আমরা অভিবাবক হীনতায় পড়ে যাই। এর পরই বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান হাল ধরায় বন্দরের জনগণ অভিভাবক হীনতা থেকে মুক্তি পায়। তিনিও বর্তমানে সকল দলের লোকের গ্রহণ যৌগ্য এমপি।
প্রধান অতিথি জনগণের উদ্যোশ্যে আরও বলেন, শুধু দাঁড়ি টুপি দেখলেই জামায়াত মনে করবেন না। দাঁড়ি টুপি নবী করিম (সা:) এর সুন্নত। আজ-কালের মধ্যে জামায়াত নিষিদ্ধ হচ্ছে। আপনাদের আশ পাশে যারা জামায়াত করেছে তাদের মারধর না করে তাদের বুঝিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বপক্ষের দিকে নিয়ে আসবেন। যারা  আসতে চাইবে না তাদের পাকিস্তান যেতে বলবেন। প্রয়োজনে আমাকে বলবেন আমি তাদের পাকিস্তান পাঠানোর ব্যবস্থা করব। আর বন্দরে যতগুলি অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে তা সরকার কেটে দিলে আমি বাধা দেব না। কারণ দেখা দেখে কতিপয় লোক অবৈধ গ্যাস দিয়ে বন্দর থেকে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ টাকা দিয়ে বন্দরকে শহরে রূপান্তরিত করা যেত। অবৈধ গ্যাসের কারনে সরকার ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি ১০ হাজার গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করব। মাত্র ২ হাজার ৫শ’ টাকায় দুস্ত গ্যাহকদের দেয়া হবে। যারা ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে  অবৈধ গ্যাস নিয়েছেন আপনারা আপনাদের টাকা ফেরত নিয়ে নিন। এর আগে তিনি বন্দর সমর ক্ষেত্র ’৭১ পরির্দশ করেন। এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন বিজয় দিবসের কুজকাওয়াজ সমরক্ষেত্রে হবে এবং ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেই সাথে বিজয় উল্লাসের জন্য শিল্পি মমতাজ ঐদিন সংগিত পরিবেশন করবেন।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত