দম্প‌তি‌কে আট‌কে পু‌লি‌শের চাঁদা দা‌বি, ইন্স‌পেক্টর প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : রূপগঞ্জে এক দম্পতিকে পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের ফুফাতো ভাই হুমায়ূন হোসেনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সাথে আলামিন নামে একজনকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম সুজন রূপগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় জেলা পুলিশ প্রশাসন।

ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার ও চাঁদাবাজির ঘটনার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, অন্যায়কারী যে-ই হোক না কেন পুলিশ প্রশাসন কাউকে ছাড় দেবে না।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভোলাব ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম সুজন ও তার স্ত্রী কাঞ্চন এলাকার হানিফ হুজুরের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার বিক্রলে তার অন্তসত্তা স্ত্রী রোজিনা বেগমকে কাঞ্চন বাজারের নুপুর ফার্মেসীতে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরছিলেন আজিজুল।

তারা কালাদী বাসস্ট্যান্ডে পৌছুলে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলামের ভাই হুমায়ূন হোসেন ও তার সহযোগী আলামিন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঐ দম্পতিকে জোরপূর্বক কাঞ্চন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

আজিজুল চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে ১০০পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ইনচার্জের ভাই ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলামকে বেধড়ক পেটায় এবং তার অন্তসত্তা স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আজিজুল ইসলাম সুজন তার মা হাসনারা বেগমকে খবর দিলে তিনি পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন।

পুলিশ পরিচয়দানকারী ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের ভাই চাঁদাবাজ হুমায়ূন হোসেন ও আলামিন হাসনারা বেগমকেও ইনচার্জের কক্ষের ভিতরে নিয়ে যায়। পরে হাসনারা বেগম ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তার ছেলে ও ছেলের অন্ত:সত্তা স্ত্রীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

এসময় ভুয়া পুলিশ পরিচয়দানকারীরা এই ঘটনা নিয়ে জানাজানি হলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে।

এ ঘটনায় আজিজুল ইসলাম সুজন বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত আলামিনকে গ্রেফতার করে। একই সাথে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) শফিকুল ইসলামকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত