নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (রূপগঞ্জ প্রতিনিধি): উপজেলার সাওঘাট এলাকার একটি তুলার মিলে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পান্তিশী দাস (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া রজনী কান্তি দাস নামে আরো এক জন শ্রমিক মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পান্তিশী দাসের বাড়ি আড়াইজাহার। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সাওঘাট ঋষিপাড়া এলাকার নিতাই দাসের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
পান্তিশী দাসের পিতা প্রেমানন্দ দাস জানান, সাওঘাট এলাকায় রফিকুল মীরের মালিকানাধীন তুলা তৈরির কারখানায় ৭০/৮০ জন শ্রমিক কাজ করেন। বিভিন্ন গার্মেন্টেসের ঝুট থেকে তৈরি করা হয় তুলা। শ্রমিকদের মধ্যে তার মেয়ে পান্তিশী দাসও কাজ করতেন। গত ২৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট থেকে মিলে আগুন লেগে যায়। এক পর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো মিলে ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় তার মেয়ে পান্তিশী দাসসহ রজনী কান্তি দাস নামে দুই জন অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পান্তিশী দাস মারা যান। রজনী কান্তি দাস চিকিৎসাধীন রয়েছেন।