নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : তারা দেশকে অকার্য রাষ্ট্র বানাতে চাইছে মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা দেশকে অকার্য রাষ্ট্র বানাতে চাইছে। তাই জেগে ওঠার সময় এসেছে। সামনে কঠিন সময় আসছে। দেশকে নিয়ে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপির অনেক বড় বড় নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলছেন, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশ রক্ষা করতে হবে তো ভাই। এমনকি অনেক বড় বড় আলেমদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তারাও দেশকে রক্ষার জন্য কথা বলছেন। দেশের সব আলেমরা খারাপ নন। দেশে বড় বড় আলেম রয়েছেন। আমি সেই আলেমদের সম্মান করি। ২৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে (নম পার্ক) ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও দেশের শত্রুদের প্রতিহত করতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আগামী ৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে বিশাল জনসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কি করণীয়। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজাতে হবে। এক জায়গা থেকে ঘণ্টা বাজালে সব জায়গার স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি জেগে উঠবে। যারা দেশকে ভালোবাসে তাদের চেতনা জাগ্রত হবে। যখন সবাই একসঙ্গে জেগে উঠবে তখন কুলাঙ্গাররা পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাবে না।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর ভেবেছিলাম দায়িত্ব শেষ। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবো। কিন্তু এখন দেখছি দায়িত্ব আরও বেড়েছে। দেশ নিয়ে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ৭৫ সালে স্ব–পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার ভাস্কর্যে হাতুড়ি লাগিয়ে একাধিকবার হত্যা করেছে। যারা বঙ্গবন্ধুর গায়ে হাতুড়ি আঘাত করেছে তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপমান সহ্য করবো না।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে কথা হচ্ছে। ওই কানাডা থেকে এক মেজর বলে আমার নাকি ৬ জন সিকিউরিটি। আমার কোনো সিকিউরিটি নেই। সরকারিভাবে ১ জন সিকিউরিটি দিয়েছিল তাও নিয়ে গেছে। আমার সিকিউরিটি প্রয়োজন নেই। আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। সব কিছুর মালিক আল্লাহ।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সস্পাদক শওকত আলীর পরিচালনায় কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বাবু চন্দন শীল, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক) ওয়ালী মাহামুদ, যুগ্ম সম্পাদক (সাবেক) লুৎফর রহমান স্বপন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সস্পাদক শাহ নিজাম, দফতর সম্পাদক মোমেন শিকদার, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহল, সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, যুগ্ম সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারণ সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া প্রমুখ।