নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : নারায়ণগঞ্জ নগরীরর তল্লা এলাকার একটি পাঠাগারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি মহলের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে পাঠাগারের মাঠ দখল শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড তল্লা এলাকার বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধাগণ। তারা দাবী করেছেন, এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি মূল ঘটনাকে আড়াল করে স্থানীয়দের সম্মানহানী করা হয়েছে। রবিবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর ) রাতে সকলের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী নূর গণমাধ্যমকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছ্, ওই প্রতিবেদনে যাচাই বাছাই না করে স্থানটির পুরো তথ্য না জানিয়ে সাংবাদিক ভাইদের ব্যবহার করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পাঠাগারকে সামনে রেখে স্বার্থন্বেষী একটি মহল উল্টো দখলের পায়তারা করছে। এতে করে যেমনি করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। তেমনি মূল ঘটনাকে আড়াল করে স্থানীয়দের সম্মানহানী করা হয়েছে। যেহেতু এখনো পাঠাগারের জন্য যথেষ্ট জায়গা দৃশ্যমান রয়েছে। আর সেখানে বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের বসার স্থান হলে মহাভারত শুদ্ধ হওয়ারও কিছু থাকার কথা নয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ব্যবহার করে দখলের মত কোন স্থাপনাও করা হয়নি । শুধুমাত্র একটি সাইনবোর্ড সাটানো হয়েছে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে। তাছাড়া এখানে যেন কোন অবৈধভাবে দোকানীদের দখলে না চলে যায়। এজন্য একটি সাইনবোর্ড সাটানো ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান ছিলনা। সত্যিকার অর্থে, গণমাধ্যমে উল্লেখিত অএ পাঠাগারের মাঠ উল্লেখ করা সেটি তাদের বৈধ দখলে রয়েছে কিনা তাও নজরে নেয়ার অনুরোধ রইল।
সকলের জ্ঞাতার্থে ঘটনার বিবরন জানানো হলো, প্রকৃত পক্ষে অএ পাঠাগারের সামনে একটা পুকুর ছিল। অতীতে যার তিন পাশেই বেস্টনিতে আবদ্ধ করা ছিলো এবং তারা মাছ চাষের নামে দখলে রেখেছিলো। পরবর্তীতে যাদের মালিকানা জায়গা তারা সেটা বুঝে নিতে চাইলে অএ পাঠাগারের কর্মকর্তা দ্বারা বহুবার লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। যা সাংবাদিক ভাইরা খোঁজ নিলেই জানবেন।একটাসময় রেললাইনের সামনে তৎকালিন একটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অফিস এবং পাশেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটা নির্ধাররিত জায়গা ছিলো যা ঐ সময়ের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামিউল্লাহ মিলন ও পাঠাগারের সাবেক সভাপতি এড. আলাউদ্দিনসহ প্রায় ৬ জন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো আলী নুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেনসহ সমাজের মানুষ নিয়ে অএ স্থানটিতে সাইনবোর্ড টাংগানো হয়েছিল। কিন্তু রাস্তার কাজ প্রক্রিয়াধিন থাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্মান কাজ করা সম্ভব হয়নাই। ইতমধ্যে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এবং পাঠাগারের সামনের কিছু অংশ ভরাট হওয়ার সর্বসম্মতিক্রমে অস্থায়ীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বসার জন্য জায়গাটি পাঠাগারের কর্মকতারা তরিঘরি করে ভরাট করে সামনের অংশ সিমেন্ট এর পিলার আর টিন দিয়ে দখলে নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন তাদের সাথে বারংবার যোগাযোগ করার পরেও তারা কোন কর্নপাত করে নাই। এমতাবস্থায় ২ সপ্তাহ দরে মুক্তিযোদ্ধারা ঘুরে তাদের কে মুক্তিযোদ্ধারাই ২৩/৯/২২ তারিখ বসার সিদ্ধান্ত জানায়। তবে তারা ঐ সময় উপেক্ষা করে ২৪/৯/২২ তারিখ থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন। তাদের কখামত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মতি হয়ে উপস্থিত থাকেন। এ নিয়ে পাঠাগারে সভাপতি দ্বারা কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও খারাপ আচরণ করা হয়। তারপরেও প্রায় ২০ জনের ও বেশি মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও সাবেক কাউন্সিলর জমসের আলী ঝন্টু, মহিলা কাউস্নিলর শারমিন হাবিব বিন্নি উপস্থিত থাকায় তারা বেশি একটা সুবিধা করতে পারে নাই। পরবর্তিতে তাদের দাবিকৃত পুরো জায়গার কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারে নাই। কারণ অএ জায়গাটিতে ঐ দাগের ১৮ শতাংশ জায়গার মধ্য ১২ শতাংশ জায়গা ব্যক্তি মালিকানা রয়েছে। অথচ সংবারে ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাবেক কাউন্সিলর, তার ছেলে এবং এলাকাবাসীকে হেয় করা হয়েছে।
তাদের দাবী, মঈন আহসান সহ বর্তমান পাঠাগারে অনেকেই নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতে ইসলাম সংগঠনের সংগে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে মনে করেন। যে কারনে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তি, স্বাধীণতা চেতনায় বিশ্বাসী এমন অনেকেই পাঠাগারের সাথে এখন কোনভাবেই জড়িত হতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। তাছাড়া তার বড় ভাই মেজবা, তার বড় ছেলে ১১নং ওয়ার্ড ছাএ দলের সভাপতি। সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ডাকা কর্মসূচিতে মশাল জালিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালাতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পলায়ন করেছে। যা সাংবাদিক ভাইয়েরা অনুসন্ধান করলেই প্রকাশ পাবে। এ পাঠাগারের অনেক সুনাম থাকলেও বর্তমানে কোন কার্যক্রম নাই। বিগত ৫-৬ বছর ধরে বৃষ্টি হলেই পানিতে নিম্মজিত থাকে। স্ব-শরীরে আসলেই এখানকার পানির পচা গন্ধ আর ডেঙ্গু আতংকের আবাশ পাবে। যেকারণে এলাকাবাসীর কাছেও চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ, আপনারা জাতির বিবেক হিসেবে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবেন বলে আশা করছি।