ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ ১৫টি গাড়িতে আগুন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস-ট্রাক, কার্ভাড ভ্যানসহ ১৫টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৮ই মার্চ রবিবার হরতাল শেষে রাত ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করলে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিনব্যাপী হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের হরতাল কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। রাত ৮টার দিকে মহাসড়কে ৪টি ট্রাক, ৬টি কাভার্ডভ্যান, ২টি বাস ও ৩টি পিকআপভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাতরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, সন্ধ্যার পর সাইনবোর্ড থেকে সানারপাড় এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বাস-ট্রাকসহ প্রায় ১৫টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া সকাল থেকে প্রায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অনেক গাড়ি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা এ আগুন দিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এদিকে, অগ্নিসংযোগের পর থেকে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত করে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসব হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দেশব্যাপী হরতালের আহ্বান করে হেফাজত ইসলাম। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার ভোর ৬টা থেকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত টায়ার ও কাঠের স্তুপ করে আগুন ধরিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেয় হেফাজত ইসলাম নেতা-কর্মীরা। এতে মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশ মহাসড়ক থেকে তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হেফাজত নেতা-কর্মীরা। পরে শিমরাইল মোড়, মৌচাক ও মাদানীনগর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের সাথে হেফাজত ইসলাম নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়লে ডাক্তার, সাংবাদিক, পথচারীসহ প্রায় ৪০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ সময় বাস-ট্রাকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়িতে ভাঙচুর ও ৫-৬টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা।

add-content

আরও খবর

পঠিত