নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : ডেমরা ডিপিডিসি বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৫ টি গ্রামের দুইশতাধিক গ্রাহক এখন বিদ্যুৎ]হীন। রমজান মাসে হঠাৎ বিদ্যুৎহীন হওয়ার কারণে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
এলাকাগুলো পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকা দাবী তুলে শনিবার দুপুরে গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ডিপিডিসির কর্মকর্তারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী সহকারী প্রকৌশলীসহ দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবী জানিয়ে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চনপাড়া-নগরপাড়া সড়কে ঝাড়– নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ঐ কর্মকর্তাদের অপসারণ করা না হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ, মানবন্ধনসহ বড় ধরণের কর্মসূচী দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে।
বিক্ষোব্ধ এলাকাবাসী জানান, নব্বই দশকের পর থেকে কায়েতপাড়া ইউনিয়রে নগরপাড়া, খামারপাড়া, কায়েমশাইর, দেলপাড়া, তালাশকুটসহ প্রায় ১৫ টি গ্রামের লোকজন ডিপিডিসি (ততকালীন ডেসা) বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। গত দুইবছর আগে এ এলাকাগুলোর মধ্যে শুধু নগরপাড়া এলাকায় বেশ কিছু গ্রাহকদের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়।
শনিবার দুপুরে বিনা নোটিশে ডিপিডিসির সহকারী প্রকৌশলী বদরুল আলমের নেতৃত্বে হঠাৎ করেই নগরপাড়াসহ ডিপিডিসির দুইশতাধিক গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এসময় স্থানীয় দুইসাংবাদিক প্রতিবাদ করলে ঐ কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন ও সাংবাদিকদের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
একপর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৫ টায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহক ও এলাকাবাসীরা মিলে সহকারী প্রকৌশলী বদরুল আলম, উপ-সহকারী মনির হোসেন, হাফিজুর রহমান, ফোরম্যান শরিফ হোসেনের অপসারন দাবী করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা চনপাড়া-নগরপাড়া সড়কে ঝাড়– নিয়ে মিছিল বের করে।
স্থানীয় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, যাদের এক বছর আগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, তাদেরও ভূতুড়ে বিল আসছে মাসের পর মাস। এভাবে প্রায় ৭শত গ্রাহকের ভূূতুড়ে বিল দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এসব কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই ৪ টি কারখানায় প্রায় কয়েকশত ব্যটারিচালিত রিকসায় চার্জ দেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিপিডিসির ডেমরা শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, উপড়ের নির্দেশ রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা যদি খারাপ আচরণ করে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাটারিচালিত রিকসার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।