ডিবি পুলিশের আতঙ্কে পালিয়ে চিকিৎসা !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ডিবি পুলিশের বেধাড়ক মারধরের কারণে হতে হয়েছে রক্তাক্ত জখম। ব্যর্থ হয়েছে নাগরিক অধিকার, পুলিশের সহযোগীতা থেকেও। মারধরে আহত হয়ে মামলা তো দূরের কথা পুলিশ নেয়নি অভিযোগও। উল্টো ডিবি পুলিশের পক্ষে থেকে ঠুকে দেয়া হয়েছে এক এক করে দুটি মামলা। বন্ধ রয়েছে সন্তানদের সৎ উপার্জন করতে দেয়া দোকানটিও। এখন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত আহত যুবলীগ নেতা জালাল ও তার স্ত্রী সহ তার পুরো পরিবার।

ডিবি পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার আতঙ্কে ঘটনার ওই রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেও চিকিৎসা না নিয়েই পালিয়ে এসেছেন মারাত্মক আহত জালাল। অবশেষে খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেড নিলেও এখন ফেরারী হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে জালাল সহ তার পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে বলে সোমবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীকে জানায় আহত ১১নং ওর্য়াড যুবলীগ ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের জেলা সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন।

তাদের অভিযোগ, ঘটনার পর ওই রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায় ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এসময় তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে বলেও হুমকী প্রদান করা হয়েছে। এরআগেও আহত হয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালে আসার পথে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে একবার গ্রেফতার করতে নানাভাবে চেষ্টা চালায় ডিবি পুলিশ। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে তাদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছিলো।

এছাড়াও ঘটনার পরদিন গতকাল বিকালে ন্যায় বিচার চাইতে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীরা। তবে পুলিশ সুপার না থাকায় তার কার্য্যালয়ে এটি রিসিভ করে নেয়। এদিকে কোর্টে গিয়ে মামলা করতে চাইলেও সেখানে তাদের সকাল থেকে ঘুরানো হলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে সেখানেও র্ব্যাথ হয়। বর্তমানে ডিবি পুলিশের ভয়ে, নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যুবলীগ নেতার স্ত্রী রীনা ইয়াসমীন মর্জিনা ও ছেলে আল আমিন ও রবিন চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় শহরের খানপুরস্থ চৌরঙ্গি পার্ক সংলগ্ন মাই লাইফ ক্যাফে নামক ফাস্ট ফুডের দোকানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিবি পুলিশের সাথে একপর্যায়ে তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় জনতার হামলায় গুরুতর আহত হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মিজান ও সায়েম এবয় এ.এস.আই আমিনুল ও বকুল।

add-content

আরও খবর

পঠিত