নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীরের হুমকি-ধামকি ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দৈনিক বিজয় এবং দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ, দৈনিক আমার সবুজ পৃথিবী পত্রিকার প্রকাশক কামাল প্রধান। ৩০ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৩টায় তার নিজ বাস ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কামাল প্রধান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আসসালামু আলাইকুম।
আমি কামাল প্রধান জাতীয় দৈনিক বিজয় এবং দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ, দৈনিক আমার সবুজ পৃথিবী পত্রিকার প্রকাশক, একজন গনমাধ্যমকর্মী হয়েও আজকে আমাকে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করতে হচ্ছে। দেশের বর্তমান যে আইন শৃঙ্খলা গনমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা তা আর নেই। আপনারা জানেন গত কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জে ৮টি পত্রিকার বিরুদ্ধে ১৬ জন সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা করেন। একজন ব্যবসায়ী। সেই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদানের জন্য আমি নিজে গত ২৮/১০/২০১৯ সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাই। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে থাকা দর্শনাথীদের মধ্যে আমিও অপেক্ষা করছিলাম পুলিশ সুপারের জন্য। কিন্তু হঠাৎ ডিবির একজন অফিসার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রবেশ করে বলেন কামাল প্রধান কে? উত্তরে জানাই আমিই কামাল প্রধান। তখন সে নিজেকে ডিবি পুলিশের এস.আই আলমগীর পরিচয় দিয়ে বলেন আপনার নামে একটি অভিযোগ আছে এই বলে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপরে ডিবি অফিসে।
আমি আমার বিরুদ্ধে আদালত আনীত অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির আলমগীর বলেন, আপনি ২০১০ সালে তল্লা নিবাসী আনিসুরের ১৬ শতাংশ জমি অবৈধ ভাবে বিক্রি করেছেন। আমি বললাম ২০১০ সালের ঘটনা আর এখন আপনারা আমাকে বলছেন। আমি কোন অবৈধ নয় বৈধভাবে আনিসুরের কাছ থেকে পাওয়ার অব এর্টনী নিয়ে বৈধ ভাবেই জমি বীর মুক্তিযোদ্ধা কদম রসুল নিবাসী আক্তারুজ্জামান এর নিকট বিক্রি করেছি। আনিসুর তখন দেশের ছিল এবং তার বড় বোন জামাই নাছির ও সাথে ছিল সনাক্তকারী স্বামী হিসেবে যাই হওক। ডিবির এস,আই আলমগীর কে আমি অবগত করি এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আনিছের বোন, পরপর তিনটি মামলা দায়ের করেন, আমার নামে এবং আক্তারুজ্জামান সহ আরো ৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত মামলা গুলি সুষ্ঠ তদন্ত করে বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয় মামলা নং-০৫/১১ইং। বিজ্ঞ আদালত অনিয়মের কোন সত্যতা না পাওয়া মোকদ্দমাটি বিগত ২৪/১০/২০১১ সালে ফৌঃ দাঃ ২০৩ ধারা মোতাবেক খারিজ করে দেন এবং এই মামলায় আনিছুরের বোনের দায়ের করা আপীল মোকদ্দমাটি ও বিজ্ঞ আদালত আপিল বিভাগ খারিজ করেদেন কোন অনিয়মের সত্যতা না পাওয়ার কারনে। প্রশ্ন হলো বিগত ১১ বৎসর পর এসে আনিস এখন বলছে সে নাকি কামাল প্রধানকে পাওয়ার দেননি বিগত ৩০/০৮/২০১০ সালে অর্থাৎ যে আনিসুর রহমান পাওয়ার দিয়েছেন তিনি নিজে একটি মামলা করেননি করেছেন তার বোন কিন্তু ৩০/০৮/২০১০ সালে আনিছ বাংলাদেশে ছিল এবং ঐ সময় তার বড় বোন জামাই নাছিরকে সাথে করে এসে আমাকে ব্যাপক ক্ষমতা আম-মোক্তার নামা দলিল করেছেন। সেই দলিল বলে আমি এই শোল শতাংশ জমি আক্তার সাহেবের কাছে বিক্রি করি ডিবির এসআই আলমগীরকে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করি যে, আনিসের পক্ষে যতগুলি মামলা তার বোন করেছে সবকটি মামলা বিজ্ঞ আদালত কোন অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার সেই মামলা গুলি খারিজ করেছেন।
অন্য আরেকটি মোকদ্দমার রয়েছে দেঃ মোঃ নং-১৪২/২০১২ বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে যুগ্ম নারায়ণগঞ্জ সেটি ইস্যু গঠনের জন্য চলমান আছে। এখন সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি কার আদেশ মানবো আদালতের নাকি ডিবির? যেখানে বিজ্ঞ ১ম জেলা জজ আদালতে মামলা বিচারাধীন সেখানে ডিবি কি বিচার করবে তাহলে কি আদালতের চেয়ে ডিবি বড় হয়ে গেছে। এই মামলার একাদিক আইনজীবি মতামত ব্যক্ত করেছেন যেখানে বিজ্ঞ আদালত আনিসের পক্ষে দায়ের করা ৩টি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন এবং অন্য একটি মামলা চলমান ইস্যু গঠনের জন্য রয়েছে সেখানে ডিবির কোন এখতিয়ার নেই। সিভিল মামলার বিবাদীকে ডিবি অফিসে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করার। এটা সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার আদালত যদি সাক্ষী প্রমানে মনে করেন এই মামলার বিবাদীরা আইন অমান্য করে জমি বিক্রী করেছে তাহলে সেই অপরাধে আদালত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
তাছাড়া ১০ বৎসর পর এসে এখন যেহেতু আনিস বলছে সে পাওয়ার দেননি তাহলে সে নিজেই তো তার ছবি এবং ফিংগার প্রিন্ট আসল না নকল সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মামলা করতে পারে যদি আনিস মনে করেন বিগত ৩০/০৮/২০১০ সালে সে কোন পাওয়ার দেননি অন্য এক আইনজীবি বলেন, মোকাম আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ডিবি কিভাবে কোন অবস্থায় বিবাদীদের ডেকে নিয়ে বিচার করার কথা বলে। ডিবি আদালত, তাহলে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় এবং আদালত থেকে লাভ কি? ডিবিই সব বিচার করতে পারে। ডিবির কাছে অভিযোগকারী আনিস উপর থেকে নেমেই আমাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেছে। ডিবি এবং প্রশাসনের দ্বারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের মাধ্যমে আমার অভিযোগ গুলি তুলে ধরলাম। ন্যায় বিচারের স্বার্থে।