নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফতুল্লার প্রভাবশালী এক শ্রমিকলীগ নেতার হাত ধরে কিলার মোক্তারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের যাত্রা শুরু হয়। ফতুল্লার পাগলা এলাকার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী তোফাজ্জল হোসেনের (ক্রসফায়ারে নিহত) সাথে বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তারের পরিচিতি কুতুবপুর ইউনিয়ন ব্যাপি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপর তাকে আর পেছনে ফেরে তাকাতে হয়নি। খোলা হয় তার অপরাধ কর্মকান্ডের হালখাতা। পাগলা এলাকার বিভিন্ন মহল্লা থেকে একাধিক তরুন যুবকদের দিয়ে সে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। তার নেতৃত্বে পাগলা এলাকায় চাঁদাবাজি,রাহাজানি,মাদক ব্যবসা এবং হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত হতে থাকে। পরবর্তীতে পাগলা মুন্সিবাগ এলাকার যুবলীগের নামধারী নেতা আঃখালেকের ছত্র ছায়ায় থেকে ওস্তাদ কিলার খোকনের কাছ থেকে অস্ত্র চালানোর ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে ওয়াসার জালাল মার্ডারের মাধ্যমে কিলার মোক্তার লাইম লাইটে চলে আসে। কিলার মোক্তার বাহিনীর ভয়তে পাগলাসহ, ঢাকা ওয়াসা এবং কদমতলীর বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে আতংকের মধ্যে বসবাস করতে থাকে। এরপর আর সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার বাহিনীকে পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি। পাগলার মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে ক্ষমতাসীনদের প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় অব্যাহত ভাবে চলতে থাকে তার অপরাধ প্রবনতা। এক পর্যায়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর কিলার মোক্তারের চাপ্টারের ইতিঘটে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন ওরফে কিলার মোক্তার (৩৬) এবং তার সহযোগী মানিক (৩৫) নিহত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৭টায় ফতুল্লার পাগলা শাহীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গোয়েন্দা পুলিশের এ.এস.আই আজিজ গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি রিভালবার এবং ৭ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।