নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : খালের উপরে থাকা তিনটি সেতু হিরাঝিলের বাসিন্দাদের একমাত্র মাধ্যম চিটাগাং রোডে আসা-যাওয়ার। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি তাই সেতুগুলো ব্যাস্ত মানুষের পদচারণায় মুখরীত থাকে। খালে জমে থাকা দূর্গন্ধ ডোবার কারণে নাক চেপেপাড়াপাড় করতে দেখা যায় সকলকে। দীর্ঘ ১ বছর যাবৎ তারা এই দূর্ভোগ ভোগ করছে প্র্রতিনিয়ত।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের কার্শপ শপিং সেন্টারের পিছনে হিরাঝিল সংলগ্ন ডিএনডি খালের অংশে দেখা পাওয়া যায় এমন দৃশ্য। খালের যে স্থানেই এই আবর্জনা স্তুপের দূর্গন্ধ ডোবা, তার প্রাশেই আছে ডিএনডি প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ক্যাম্প।
হিরাঝিলের কয়েক জন বাসিন্দা অভিযোগের সুরে বলেন, চিটাগাং রোডে আসা যাওয়ার জন্য সবচাইতে দ্রুত হয় এই তিনটি সেতু দিয়ে। সেতুগুলো দিয়ে আমরা এবং আমাদের ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন আসা যাওয়া করে। ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধের কারনে আমাদের অনেক কষ্ট হয় চলাচলে। তবুও আমরা তা সহ্য করছি। প্রকল্পের কাজটি সুন্দর ভাবে হোক আমরাও চাই। কিন্তু সেই সঙ্গে খালটাকে আবর্জনা মুক্তও তো রাখা উচিত।
হিরাঝিলবাসীরা বলছেন, ডিএনডির এই আবর্জনা আগেও জমে থাকতো। কিন্তু এতো দূর্গন্ধ আসতো না। সেনাবাহিনীরা খালের দুই প্রাশে খাল হতে আবর্জনা উঠিয়ে যেমনটা তেমন ফেলে রাখছে। সে গুলো আর অপসারন করা হয়নি। দীর্ঘ দিন প্রড়ে থাকায় এই আবর্জনা আবার খালে প্রড়ে গিয়ে পঁচা ডোবা হয়েছে। এখন খাল আর খালপাড়ের দুই দূর্গন্ধ এক হয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক দূর্গন্ধ। আমরা এর প্রতিকার চাই।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) সেচ প্রকল্প এলাকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফ্রেজ-২) শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী।