নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাইনর্বোড এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গ্রেফতাররা হলেন, মাশরুর আনোয়ার চৌধুরী ওরফে লোন উলফ ওরফে ট্রুথ সিকার, মোহাম্মদ কাওসার আলম ওরফে ফরহাদ নূর, আসিফ ইবতিয়াজ মোহাম্মদ রিবাত, হাফেজ মো. রাকিবুল ইসলাম। এদের মধ্যে হাফেজ রাবিকুলের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া থানায়। অন্য তিনজনের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারি ও পাঁচলাইশে। শনিবার ( ৭মার্চ ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী কার্যালয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সন্মেলনে জানা যায়, বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই ও লিফলেট সহ গ্রেফতার হওয়া জেএমবির ৪ জন সক্রিয় এহসার সদস্য এরা। যারা সকলেই উচ্চ ডিগ্রিধারী ও অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়। সম্প্রতি অনলাইনে টাইম বোমা তৈরীর বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করার প্রচেষ্টাও অব্যাহত রেখেছিল। এরমধ্যে মাশরুর আনোয়ার চৌধুরী ওরফে লোন উলফ ওরফে ট্রুথ সিকার ২০১৬ সালে জেএমবিতে যোগ দেন। তিনি চট্টগ্রামের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পারচেজ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় গ্রেফতার হওয়া কাওসার আলম ও হাফেজ রাবিকসহ ৮-১০ জনকে জেএমবিতে যোগ দিতে সহযোগিতা করেন।
এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল, জহিরুল ইসলাম পলাশ ও মাসুদ গাজীর সঙ্গে মাশরুরের সাংগঠনিক যোগাযোগ ছিল। চার মাস আগে তিনি চট্টগ্রামের চাকরি ছেড়ে ঢাকায় অন্য একটি পাঁচ তারকা হোটেলে একই পদে চাকুরি নেন। মাশরুর আনোয়ার চৌধুরী গত চার মাস আগে পূর্বের চাকুরি ছেড়ে ঢাকায় এসে অপর একটি আন্তর্জাতিক হোটেলে পারচেজ ম্যানেজারের পদে যোগদান করে সংগঠনের কার্যক্রমকে তরান্বিত করতে উচ্চ পর্যায়ের কিছু জেএমবি নেতাদের সাথে যোগাযোগ ও গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। টাইম বোমা তৈরির কৌশল রপ্ত করছিলেন বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, খেলাফত প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী শাসন কায়েমের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ আরো বলেন, মোহাম্মদ কাওসার আলম ওরফে ফরহাদ নূর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও আসিফ ইবতিয়াজ মোহাম্মদ রিবাত একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স-এ ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন।