নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ শেরেবাংলা মেডিক্যালে পৌনে একটায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, লঞ্চের ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিস ৩০ জনের এবং নদী থেকে কোস্টগার্ড ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা বরিশাল ফায়ার নার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। এখানে মোট ৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থল থেকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, এখন পর্যন্ত ৬৬ জন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধ ৬৬ জনের মধ্যে ৪৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিমে) পাঠানো হয়েছে।
এরআগে সকালে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া এক ব্রিফিংয়ে আগুনের ঘটনায় ৩০ মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
২৩ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এ সময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।