নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : বছর ঘুরে আমাদের মধ্যে হাজির হলো পবিত্র ঈদ উল ফিতর। মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। এ দিনের অন্যতম আমল হলো ঈদের নামাজ। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, অতএব তোমার রবের উদ্দেশেই নামাজ পড়ো এবং নহর করো। (সুরা আল কাউছার, আয়াত: ২)
ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। যেমন ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান, ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির রয়েছে। ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারামে উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে। সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে। ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত, যেন নামাজের আগেই বেশি থেকে বেশি সাদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে শহরের অন্য কোনো জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করা। পরিশেষে যদি নামাজ ছুটেই যায় তাহলে এর কোনো কাজা নেই।
নারায়ণগঞ্জ বার্তার পাঠকদের জন্য নিচে সেই নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো :
ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়মগুলো হলো :
১। প্রথমত স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবেন। তারপর ছানা পাঠ করবেন।
২। তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলবেন।
৩। এরপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন।
৪। স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু–সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।
৫। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।
৬। তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন।
৭। নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন। দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।
৮। খুতবা শেষে সবাই মসজিদ বা ঈদগাহ ত্যাগ করবেন।