নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : স্বেচ্ছাসেবক লীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর নেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মারুফুল ইসলাম মহসীন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের যত আন্দোলন ছিলো সেই আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে আমাদের এই জুয়েল ভাই। তিনি ছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃত্ব অচল। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ যদি নেতৃত্বের হাল ধরতে চায়, যদি আগামী দিনে নেতৃত্ব দিতে চায় তাহলে জুয়েল ভাইয়ের মত নেতৃত্ব আমাদের অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। জুয়েল ভাইয়ের নেতৃত্ব আমাদের খুবই প্রয়োজন। তার কিছু হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ অনেক দুর্বল হয়ে যাবে এবং অচল হয়ে যাবে তাই সু স্পষ্ট বলে দিতে চাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের পুনরায় জুয়েল ভাইকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে আনতে পারি। ২৭ জুলাই বুধবার বিকালে চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় অবস্থিত একটি রেষ্টুরেন্টে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যার নেতৃত্বে রাজনৈতি করি সে নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা একেএম শামীম ওসমান। এমপি শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার সুফল আজ আমরা সকলেই ভোগ করছি। সারাদেশে নারায়ণগঞ্জ একটি সুপরিচিত নাম। আমাদের গর্ববোধ করা উচিৎ। ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জের মানুষকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। তারপরেও এই পরিবারের সদস্যদের গডফাদারসহ নানা রকম ভাবে কথা বলে সমালোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো.ছগীর আহমেদ, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মো.সিব্বির আহমেদ, সাবেক সহ সভাপতি মানিক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয় সহ সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে মহসীন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে জননেতা এ.কে.এম.শামীম ওসমান এমপি মহোদয়ের নেতৃত্বে আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগ সর্বদা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম আছি ও থাকবো।
এছাড়া উপস্থিত প্রধান অতিথি জুয়েল হোসেন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ সকলকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান মহসীন। পরিশেষে বাদ আসর মসজিদে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং ওসমান পরিবারের জন্য দোয়ার আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।