নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস জাহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক রহস্য উদঘাটন এবং মূল হত্যাকারীসহ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব–১১। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো– হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার আদর্শ গ্রামের মো. গফুর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০), পঞ্চগড় জেলার মসজিদপাড়ায় শামীম (৪০), গাইবান্ধার দূর্গাপুরের ইব্রাহীম খলিলের ছেলে রনি মিয়া ওরফে টনি (৩০), রংপুরের পীরগাছার ইব্রাহীম শেখের ছেলে আব্দুল মান্নান শেখ (২২), নাটোরের সিংড়ার পুটিমারীর লস্কর প্রমাণিকের ছেলে সুমন (৩৮), বাগাতিপাড়ার গালিমপুরের মৃত তাইজ উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৫) ও গাজীপুরের জয়দেবপুরের চান্না বৌবাজার এলাকার হাবিবুল্লাহ (৫২)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব–১১ এর অধিনায়ক আরো জানান, গত ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন টেংরারটেক সাকিনস্থ এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পশ্চিম পাশের মাল্টি–ব্র্যান্ড গ্রুপের বাউন্ডারি সংলগ্ন ডোবার মধ্যে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়।
২৪ তারিখ হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত হয়ে মো. কাজল হোসেন (২১) নামে এক ব্যক্তি মরদেহের ছবি ও পরনে থাকা কাপড় দেখে সেটি তার বাবা জাহিদুল ইসলামের বলে শনাক্ত করেন। এরপরেই অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে নিহতের ছেলে মো. কাজল হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহসহ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব–১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। র্যাব তথ্য–প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। র্যাবের অভিযানে ১৬ আগস্ট (সোববার) রাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ওই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।