নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : জাহাজ শ্রমিক মাহাবুর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী বিআইডব্লিউটিসির শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় ঢাকার দৈনিক বাংলার মোড় এলাকার শ্রম আদালতের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে বন্দর থানার পুলিশ।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি চুন্নুর অবস্থান জেনে ডিএমপির পল্টন থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়েছে।
মামলার মূল আসামী নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারসহ অন্যদের এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত জাহাজ শ্রমিক মাহাবুরের স্ত্রী বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার, কবির হোসেন, অলিয়ার রহমান, নয়ন, রায়হান, সাইফুল ইসলাম, লিটন হোসেন ও রিপন প্রধান, মো. হারুন মাঝি, নবী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পাওনা টাকা চাইতে গেলে গত ২৯ জানুয়ারি রাতে মাহবুরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মাহাবুর তৃতীয় শ্রেণির ইঞ্জিন চালক ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
মাহাবুরের বড় ভাই হাফিজুর জানান, ২৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় মাহাবুরের ফোন থেকে তাকে জানানো হয়, মাহাবুরের শরীর খারাপ। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে দেখতে পান। তখন স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। মাহাবুরের সঙ্গে থাকা লোকজন জানায়, সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু তার লাশ আলফাডাঙ্গায় এনে গোসল করাতে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাশ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হাফিজুর আরও বলেন, ঘটনাস্থলে খবর নিয়ে জানাতে পারি, আসামীদের কাছে মাহাবুর তিন লাখ টাকা পেত। সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল বৃহস্পতিবার সকালে। কিন্তু বুধবার রাতেই তাকে হত্যা করা হয়।