জননন্দিত নেতা শামীম ওসমানের জম্মদিন আজ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রিফাত ) : আধু‌নিক নারায়ণগ‌ঞ্জের সপ্নদ্রষ্টা‌ ( ফতুল্লা- সিদ্ধিরগঞ্জ ) চার আসনের সংসদ সদস্য ও জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমান ৫৯টি বছর পেরিয়ে আজ ৬০ বছরে পর্দাপনে নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ১৯৬১ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দিনে তিনি জন্ম গ্রহন করে পৃথিবীর বুকে আগমনে খুশির বার্তা বয়ে আনে। শামীম ওসমানের পিতা সাবেক এমপি এ কে এম সামসুজ্জোহা একজন ভাষা সৈনিক , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ও আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়ে ছিলেন।

১৯৮৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এই মাসেই তার পিতা সামসুজ্জোহা ইহকাল ত্যাগ করে। শামীম ওসমানের রত্নগর্ভা মাতা নাগিনা জোহা  গত ২০১৬ সালের ৭ ই মার্চ ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইহকাল ত্যাগ করেন। একজন  রত্নগর্ভা মা তার পরিবারের তিন জন ছেলে সন্তানের মধ্যে শামীম ওসমান কনিষ্ঠ পুত্র।

তার বড় ভাই আলহাজ্ব নাসিম ওসমান গত ২০১৪ সালের গত ৩০ এপ্রিল পরলোক গমন করেন। তিনিও জীবনের র্দীঘ সময় মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের চার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় এমপি। তার মৃত্যুবরণের পরে বর্তমানে তাদের মেঝ ভাই আলহাজ্ব সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে গত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ  নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হয়ে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করছেন। তাছাড়া  তিনি এ্কজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত।

জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমান সালমা ওসমান লিপিকে প্রেম বন্ধনের মাধ্যমে বিবাহ করেন । সালমা ওসমান লিপি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান। শামীম ওসমান ও সালমা ওসমান লিপি দম্পত্তির এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান। তার বড় ছেলে অয়ন ওসমান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ।

গত ২০১৭ সালের ২৪ই নভেম্বর রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক জাতীয় পার্টি নেতা ফয়েজ উদ্দিন আহম্মেদ লাভলুর একমাত্র কন্যা রাশমীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর পর গত ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিক এপোলো হাসপাতালে পুত্র সন্তানের বাবা হন অয়ন ওসমান। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান দাদা এবং জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি ও সাংসদ শামীম ওসমানের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি হন দাদি।

তাছাড়া এর আগে গত ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের ‍ উপর এক জনসভায় ছেলের বাবা এবং নিজের দাদা হবার বিষয়টি জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান ।

অয়ন ওসমান  বর্তমানে আইনজীবী পেশায় রয়েছেন।  তিনি ইতি:পূর্বেই সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য ওয়াই ফাইয়ের ব্যবস্থা করে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে প্রযুক্তির অগ্রদূত হয়ে এগিয়ে এসেছে আর তিনি ‍অসহায়দের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপলক্ষে কাপড় দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তা ছাড়া সব সময় তিনি গরীব অসহায় ব্যাক্তিদের আর্থিক ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বাংলাদেশের জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমান সারা বাংলাদেশের সুপরিচিত এই নেতা সকল জায়গায় সকলের এক প্রিয় পরিচিত ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলায় জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমানকে উন্নয়নের কান্ডারি হিসেবে এজন্য তাকে আধুনিক নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার ও আধু‌নিক নারায়ণগ‌ঞ্জের সপ্নদ্রষ্টা‌ বলা হয়ে থাকে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের একজন ধনী পরিবারে আখ্যায়িত ছিলেন শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলী। তৎকালীন সময় নানা বিপর্যয়ের মোকাবিলা শেষে পিতা সামসুজ্জোহা মৃত্যুবরণ করলে এক সময় শামীম ওসমানের মাতা নাগিনা জোহা পরিবার অনেকটা কষ্টে জীবন যাপন করে তাদের তিন ভাই কে গড়ে তোলেন।

বড় ভাই প্রয়াত জননেতা নাসিম ওসমানকে ময়মনসিংয়ের গাড়ি চালিয়েও উপার্জনে অগ্রসর হতে হয়। মেঝ ভাই সেলিম ওসমান প্রায়ই বলে থাকেন তার কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন কাহিনীর কথা। ১৯৯৬ইং সনে সর্ব প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন । এরপর নারায়ণগঞ্জকে আধুনিকায়ন করার জন্য ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য ২৬ শত কোটি টাকার কাজ করেন সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ কে কলংক মুক্ত করেন টানবাজার পতিতা পল্লী উচ্ছেদের মাধ্যমে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ডিজিটাল টেলিফোন, লিংক রোড নির্মাণ, সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সমস্যার সমাধান, বক্তাবলীতে বিদ্যুত সংযোগ, তোলারাম কলেজে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালু, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, নতুন আদালত ভবন, জেলা কারাগার নির্মাণ শামীম ওসমানের এমপি থাকা সময়ে বড় কাজগুলোর অন্যতম। বর্তমানে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য তিনি। ২০১৯ সালে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ৭হাজার ৫শত কোটি টাকারও বেশি কাজ করেছেন। এজন্য তাঁকে আধুনিক নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার ও আধু‌নিক নারায়ণগ‌ঞ্জের সপ্নদ্রষ্টা‌ বলা হয়ে থাকে। জননেতা শামীম ওসমানকে আজকের এপর্যায়ে পৌছতে অনেক কাঠঘর পোড়াতে হয়েছে। পদে পদে নানা বাধাবিপত্তি পার হতে হয়েছে। রাজনীতির পিচ্ছিল দীর্ঘপথ সুখকর ছিল না। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাঁকে স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। তারপর নানা রাজনৈতিক কোনঠাসা পেরিয়ে ২০০৮ সনে পূনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য হন । তিনি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এবং এই শহরকে আধুনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এরই মধ্যে ৫৯ টি বছর পেরিয়ে আজ ৬০ বছর পদার্পন করলেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

add-content

আরও খবর

পঠিত