নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শিক্ষক পিতৃ ও মাতৃতুল্য হয় এবং সর্বোপরি তিনি অভিভাবকের ভূমিকায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দান করার পাশাপাশি তাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করেন। কিন্তু একি করলেন বন্দর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ নাজমুল হাসান। সূত্র মতে ‘১০ম শ্রেণীর স্কুলের ছাত্রীরা তার বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে নিয়মিত ভাবেই তিনি ছাত্রীদের কু-প্রস্তাব দিতেন ও যৌন আচরণ করতে চাইতেন। যা শিক্ষার্থীরা কখনই মনে প্রাণে মেনে নিতে পারত না। তার এই লম্পট চেহারার খোলস তুলে ফেলতে তার কু-প্রস্তাব দেয়ার সময় ছাত্রীদের সাথে তার কথোপকথন কৌশলে মোবাইলে রেকর্ড করে ফেলে ছাত্রীরা।
গত কয়েকদিনে সেই মোবাইল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে অত্র অঞ্চলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ২৯ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক লম্পট শাহ নাজমুল হাসানকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। তার সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্থায়ীভাবে তাকে অপসারণের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এমনকি গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামাল হোসেন ও মহিদ ভূঁইয়া উক্ত প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ উৎকোচ গ্রহণ করে ঘটনা ধামাচাঁপা দেবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আর কি অপরাধ করলে প্রধান শিক্ষককে এ স্কুল থেকে সরানো হবে আমাদের তা জানা নেই।
উল্টো এখন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া, সদস্য কামাল হোসেন ও মহিদ ভূঁইয়া টাকা খেয়ে তাকে নির্দোশ প্রমানের ও ঘটনা ধামাচাঁপা দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি। এ জন্যই কি আমরা তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলাম? একটি অদক্ষ ও অসাধূ ম্যানেজিং কমিটি দিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা। আমরা প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি এই দুর্নীতিবাজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদেরও অপসারণ চাই। তার পাশাপাশি আমরা না’গঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব এ.কে.এম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপে প্রধান শিক্ষক ও অদক্ষ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে একটি যথাযথ ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানাচ্ছি।