নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ছাত্রলীগের নেতা হলেই চলবে না, লেখাপড়া করে ভালো ছাত্র হতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার এই র্নির্দেশ মেনে ভালো ছাত্র হয়ে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ছাত্র লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী যারা আছে, তারা টিকতে পারবেনা, টিকতে পারে নি আর ভবিষ্যতেও পারবে না। নাসিক নির্বাচন নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। তখন নারায়ণগঞ্জে ছাত্র লীগের সঙ্গে আমরা এক সাথে মিলেমিশে কাজ করেছিলাম।
মঙ্গলবার ৫ এপ্রিল জেলা ছাত্র লীগের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও প্রয়াত সাংসদ সদস্য সামসুজ্জোহার সহধর্মিনী এবং নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান, বর্তমান ৪ ও ৫ আসনের সাংসদ শামীম ও সেলিম ওসমানের জননী রত্নগর্ভা নাগিনা জোহার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ছোট বেলা যখনি আমি নারায়ণগঞ্জে আসতাম তখন ভাষা সৈনিক মরহুমা নাগিনা জোহার সাথে দেখা না করে যেতাম না। তার মাতৃত্বের আচরন আমাকে টেনে নিয়ে যেত তার কাছে। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন তা আমাদের সকলের মিলিত চেষ্টায় বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে তার আত্মা শান্তি পাবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, সারা বাংলাদেশের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে সহযোগীতা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের নেতৃত্বে শামীম ওসমান আছেন তাহলে আপনাদের আর ভয় কি।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু আশা করি। এ পর্যন্ত আপনাদের ডাকে ২য় বারের মত নারায়ণগঞ্জে এসেছি। আপনাদের কর্মকান্ডে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরা খুশি, ভবিষ্যতে আর ভাল কিছু আশা করি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়াত আলম সানি বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোস্তাক সামসুজ্জোহা সাহেবকে ফোন দিয়েছিলেন। সে সময় রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহা ফোন রিসিব করে ছিলো। তখন খন্দকার মোস্তাক বলেছিলো বঙ্গবন্ধুতো মরে গেছে তর স্বামীকে বল আমি সরকার ঘটন করেছি ওকে মন্ত্রীত্ব দিবো আমার সাথে মিলে কাজ করতে। তখন রতœগর্ভা মা নাগিনা জোহা বলে ছিলেন, খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে প্রথমে তাকে খাওয়াবো এর সব সন্তানদের খাওয়াবো পরে আমি নিজে খেয়ে আত্মহত্যা করবো। তবুও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে বেইমানী করতে পারবো না। আমার রাজনৈতিক গুরু জননেতা শামীম ওসমান সেই ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সেই আর্দেশে অনুপ্রানীত হয়ে রাজনীতি করে। আমরা সব সময় শুষ্ঠ ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
ভবিষ্যত্ব প্রজন্মকে একটি সুন্দর জাতি উপহার দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা ছাত্রলীগ জনগনের কর্মচারী হিসেবে সেই কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছি। ভবিষ্যত্বেও জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকবো।
আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সজীব, কাজী মাহাবুব, মহানগর আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মাহামুদা মালা, আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ-সভাপতি গোপীনাথ দাস, মহানগর স্বেচ্ছা-সেবকলীগ সাধারন সম্পাদক জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন জিকু, সানি আহমেদ পরশ, সমাজ কল্যান বিষয় সম্পাদক মনির হোসেন, শিক্ষা ও প্রাচ্যাত বিষয়ক সম্পাদক সজিব রায়, ছাত্রলীগ নেতা মিঠু দত্ত,জয় রায়, কার্তিক,লোকনাথ, জিতু, পিন্টু, হৃদয়, পার্থ্য, নয়ন প্রমূখ।