নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আ.লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আজ ছাত্রলীগের অবস্থা দেখলে কষ্ট হয়। যাদের চৌদ্দ পুরুষ আ.লীগ করে নাই তারা আজকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে চলে আসছে। যারা মাধ্যমিক স্কুল কিংবা কলেজের গন্ডি পেরোয়নি তারাও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে চলে আসে। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে ৭৫ এর পর আরেকটা ৭৫ এর অবস্থা হওয়া ক্ষীণ নয়। আমরা ১৯৭৫সালে ১৫ তারিখে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি শেখ হাসিনাকে আর হারাতে চাইনা।
১৭ আগস্ট শনিবার সোনাকান্দাস্থ থানা আ.লীগ নেতা আবেদ হোসেনের বাসভবনের সামনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে হলে সোনার মানুষ দরকার। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত এসে আজও আমরা সোনার মানুষ তৈরী করতে পারি নাই। তাই আমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রতিবাদ করতে পারি নাই। এখনও আমরা সোনার বাংলায় সোনার মানুষ তৈরী করার চেষ্টা পর্যন্ত করি না। কেননা, এখন রাজনীতি ব্যবহার করে অনেকে দলীয় পদ নিয়ে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী করে বেড়ায় আর আমরা তাদের প্রশ্রয় দেই। আমাদের এখনও শিক্ষা হয় নাই। আমরা সোনার মানুষ তৈরী করতে হলে ভাল মানুষ দেখে নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে।
তিনি তরুন প্রজন্মদের উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাধীন বাংলার মাটিতে রাজাকারদের গাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের পতাকা, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি গোলাম আজমের মত লোকদের বাংলাদেশে আমদানী করেছিল কারা করেছিল। তারা কিন্তু এখনও মরে নাই। আমাদের মধ্যেই বিরাজমান। তারা আমাদের মিটিংয়ে আসে তারাই আমাদের মিছিলে আসে। তারা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দেয়। আর শ্লোগান দেয় আমার ও অন্যান্য ভাইদের। অনেক জামাত শিবির ও বিএনপির লোকেরা আ.লীগের সমাবেশে মিছিল নিয়ে যাচ্ছে আমার শ্লোগান দিয়ে ভাইদের শ্লোগান দিয়ে তাদের চিহিৃত করতে হবে। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমাদের দলে অনেক ত্যাগী কর্মী রয়েছে তাদের মূল্যায়ন করুন অন্য দলের লোকদের আমদানী আমাদের দরকার নাই। কিন্তু আমরা কেউ কেউ নিজের শ্লোগান ও পেশি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ওই সব জামাত-বিএনপির লোকদের দলে আমদানী করি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্লিয়ার কথা ওই সব লোকদের ছাড় দেয়া হবেনা। আসুন এই শোকের মাসে প্রতিজ্ঞা করি শেখ মুজিবকে হারিয়েছি শেখ হাসিনাকে হারাতে চাই না।
মহানগর আ.লীগের সদস্য ও বন্দর থানা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মহানগর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড.খোকন সাহা।
মহানগর আ.লীগের প্রচার সম্পাদক হাবিব আল মুজাহিদ পলুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক জি.এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.মাহমুদা মালা,২৪নং ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা সামসুজ্জামান, মুছাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ২০নং ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা এমএ কাউয়ুম, ২২নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ আলী, সাধারন সম্পাদক রনি প্রধান, মহানগর যুব মহিলালীগ সভাপতি নুরুন নাহার সন্ধ্যা, ২১নং ওয়ার্ড আ.লীগনেত্রী রাশিদা বেগম, ২৩নং ওয়ার্ড আ.লীগ নেত্রী সিমলা, ২১নং ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা মনিরুজ্জামান খোকন, বন্দর উপজেলা যুবলীগনেতা মাহমুদুল হাসান জুয়েল প্রমূখ।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্নার শান্তি কামনায় দোয়া পাঠ করা হয়। দোয়া শেষে দু:স্থ্যদের মাঝে রান্না করা খিচুরী বিতরণ করা হয়।