নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনের হুকুম ও প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে তার উপস্থিতিতে ছুটিতে আসা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমনকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত এজাহারভুক্ত আসামি পাবেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করে এ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, চেয়ারম্যান স্বপন নিজে উপস্থিত থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পরে তার নির্দেশে কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তারা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় তৈরি বিভিন্ন প্রকার রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়ালসহ রুবেলদের বাড়ি ঘেরাও করে সবাইকে কুপিয়ে জখম করেন। রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন গ্রেফতার পাবেল।
এর আগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী ও বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিরা হচ্ছেন- আড়াইহাজার থানার কালাপাহাড়িয়া এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে পাবেল (৩০), একই গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে ইয়াসিন (২৬) ও আড়াইহাজারের খালিয়ারচর এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন আলী (২৭)।
আসামী পাবেল এর দেয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন মোট ৫টি হত্যাকান্ডে জড়িত রয়েছেন। এরমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান হতে তার প্রথম হত্যাকান্ডের শিকার হয় আড়াইহাজারের খাকান্দা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাসির সিরাজী।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর আরো ৪টি হত্যা করেছে স্বপন। প্রতিটি হত্যাকান্ডে স্বপন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া থাকায় এসআই নাসির সিরাজীসহ পৃথক ৪টি হত্যায় স্বপন আসামী হয়নি। কনেষ্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমনকে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় হত্যা করায় এটি থেকে স্বপন নিজের নাম আড়াল করতে পারেনি।