নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে ৮ দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। নরসিংদীর পাচঁদোনা মোড়ে দেখাগেছে রিকশা, সিএসজি, প্রাইভেটকার ও পাজারো গাড়ীর চালকসহ মুখে কালি মেখে কান ধরে উঠবস কারায় শ্রমিকরা। এছাড়া পরিবহন শ্রমিকদের সাথে শিশুদেরও দেখা গেছে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখতে।
রবিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। তবে এটা ধর্মঘট নয় অঘোষিত হরতাল মনে করছে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ধর্মঘটের ঘোষণা না দিয়ে হরতালের ঘোষণা দিলেই ভালো হতো। সকাল ৭টা থেকে নরসিংদী শহরের সাহেপ্রতাব মোড়, পাচঁদোনা মোড়ে মহাসড়ক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেনে শ্রমিকরা। এসময় মহাসড়কে ট্রাক ও মালবাহী গাড়ী মাঝপথে রেখে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ধর্মঘটের ঘোষণা না পর থেকেই শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি, রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে দেখা যায়। বাধা দিলেই লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। মুখে কালি মেখে দিচ্ছে। রিকশা চালকদের মুখেও কালি মেখে দিতে দেখা গেছে।
সড়ক আইন সংশোধন করে পঞ্চম শ্রেণিতেই লাইসেন্স, মামলা জামিনযোগ্য করাসহ ৮ দফা দাবিতে সারা দেশে পরিবহন শ্রমিকরা এ ধর্মঘট পালন করছেন। সংসদে পাসকৃত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর বিভিন্ন ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলা শ্রমিক সমাবেশ থেকে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহের হোসেন বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর সারা দেশে পূর্বনির্ধারিত কর্মবিরতি পালিত হবে। যদি এর মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা সংশোধন না করা হয় তাহলে ৩০ অক্টোবর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর পক্ষে আট দফা দাবি এবং কর্মসূচি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
লিফলেটে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়। ফেডারেশন দীর্ঘদিন ধরে যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। সেই দাবি গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে সরকার আইন পাস করলেও বেশকিছু ধারা শ্রমিক স্বার্থের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যে কারণে পরিবহন শ্রমিকদের চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।