নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : ফতুল্লায় চাঁদা দিতে অস্বিকার করায় সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে গার্মেন্ট কন্ট্রাকটর। বৃহষ্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লার বিসিক শাহি মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় ভুক্তভোগী একরামুল (২৫) বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে বিবাদী করা হয়, বিসিক এলাকার মিলন (৩৫), ভোলাইল এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলিম (২৫।
থানার অভিযোগে জানা যায়, মুসলিমনগর এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে একরামুল (২৫), পেশায় একজন গার্মেন্টস কন্ট্রাক্টর। বিবাদীরা তার কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাকুরী করতে হলে তাদের চাঁদা না দিলে আমাকে ক্ষতি করবে এমন হুমকী দিয়ে আসছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগতরাত রাত ৩টার সময় সে ফতুল্লার বিসিক ২নং গলি ডাচ বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন ডায়ামন্ড গার্মেন্টস এর কাজ শেষ করে বাসায় আসার পথে শাহি মসজিদ সংলগ্ন উল্লেখিত বিবাদীরাসহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জন ধরালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার পথ রোধ করে। ১ নং বিবাদী তার কাছ থেকে ১৫০০০ টাকা দাবি করে।সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটিতে উল্লেখিত বিবাদীসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন আমাকে এলোপাথারি মারধর শুরু করে।
অভিযোগে তিনি জানায়, আমার সাথে থাকা অংশীদারি কন্ট্রাক্টর মো. রাব্বি বিবাদীগনকে বাধা প্রদান করলে তাকেও এলোপাথারি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। এসময় ১ নং ও ২নং বিবাদী আমার আমার সাথে থাকা কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৩৭০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় আমি এবং আমার অংশীদার রাব্বি তাদের বাধা প্রদান করলে ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায়, মুখে ও মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।পরে লোকজনের সহযোগীতায় আমি ও আমার অংশীদার মো. রাব্বি নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমার গলা, মুখে ও মাথায় সর্বমোট ৮০টি শিলাই করা হয়। বর্তমানে আমি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ আছি।