চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি মতলব উত্তর থানার মিজানুর রহমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( চাঁদপুর প্রতিনিধি ) : চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন। মার্চ-২০১৯ মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ২টি ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন, মামলা নিষ্পত্তি ও ওয়ারেন্ট তামিলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, বিপিএম, পিপিএম বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের হাতে শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার তুলে দেন।

একই সাথে শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসাবে একই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া এবং ২টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ৭জন ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেপ্তার করে ব্যাক্তিগতভাবে ওয়ারেন্ট তামিলে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য এএসআই আবু হানিফকেও পুরস্কৃত করেন জেলা পুলিশ সুপার। এভাবে ৫ ক্যাটাগরীর পুরস্কারের মধ্যে ৩টিই জিতে নেয় মতলব উত্তর থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরীসহ জেলার সকল সার্কেল এএসপি, অফিসার ইনচার্জ এবং বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ফোর্সগন উপস্থিত ছিলেন।

পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় জানা যায়, ওসি মিজানুর রহমান গত ২০ ফেব্রুয়ারী-২০১৯ মতলব উত্তর থানায় অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বভার নেন। এর পর থেকেই নবাগত ওসির নেতৃত্বে এ থানা পুলিশ সুসংগঠিত হয়ে অপরাধ দমনে টিম ওয়ার্ক শুরু করে এবং এটি খুবই কার্যকরী ফল দেয়। গড়ে উঠে টিম মতলব উত্তর থানা পুলিশ। মার্চ-১৯ মাসে এ টিম ২টি ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করাকালে পৃথক ২টি ডাকাত গ্যাং এর দলনেতাসহ ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত ১০ জন ডাকাতই বিজ্ঞ আদালতে কা.বি. ১৬৪ ধারায় দোষস্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এছাড়া একই মাসে ১৬টি মামলার তদন্ত নিষ্পত্তিসহ ১৪টি জিআর, ১০টি সিআর ও ৪টি সাজা পরোয়ানা তামিলের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে ৬ টি মাদক মামলায় ৮ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণসহ ২হাজার ৯শ ৬২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় মতলব উত্তর থানা পুলিশ।

এদিকে নতুন ওসি যোগদানের পর থেকে সকল শ্রেণীর পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি  পুলিশী কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় এনে জনবান্ধব পুলিশিং চালু করায় এবং পৌরসভার সর্ববৃহৎ ছেংগারচর বাজারকে স্থানীয় বণিক সমিতির সহায়তায় পরীক্ষামূলকভাবে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে নজরদারী শুরু ও ৬ জন প্রশিক্ষিত নৈশপ্রহরী মোতায়েন করায় বিষয়টি থানা এলাকার জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে তিনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার  অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বপালনকালে  জননন্দিত হওয়ার পাশাপাশি ৬  বার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত