নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( চাঁদপুর প্রতিনিধি ) : মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বেশ জোরেশোরে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বেশ তৎপর দেখা যাচ্ছে জাতীয় সম্পদ রক্ষায়। এখন ইলিশ মাছ ধরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা চলছে সেটিকে তারা বেশ কঠোরভাবেই প্রয়োগ করছেন।
১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা শুরুর দ্বিতীয় দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকালে মোহনপুর ঘাট থেকে শুরু করে আমিরাবাদ হইয়া ষাটনল থেকে পুনরায় মোহনপুর ঘাটে এসে শেষ হয়। অভিযানে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় কোন ছাড় দেয়া হবে না। একটি ইলিশ একবারে গড়ে দশ থেকে বারো লক্ষ ডিম ছাড়ে। ভেবে দেখুন এটা কত বড় একটা বিষয়। মা ইলিশ এবং জাটকা রক্ষার জন্য বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্যই বেশ জোরালোভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, থানা, নৌ-পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসাথে কাজ করছে। দিন-রাত মিলিয়ে পালাক্রমে নদীতে টহল দেয়া হচ্ছে। ইউএনও শারমিন আক্তারের বর্ণনায় মা ইলিশ রক্ষার জন্য এখন এক ধরনের যুদ্ধ চলছে। কারণ ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। মা ইলিশ রক্ষায় দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যেখানে আন্তরিক সেখানে এ সম্পদ কেন আমরা রক্ষা করতে পারব না।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ইলিশ আহরণ, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুুদ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আমরা দিনরাত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। জাতীয় সম্পদ যারা বিনষ্ট করবে তারা দেশের শত্রু। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ শিকার-যা কার্যকর থাকবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমা লক্ষ্য রেখে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এ সময়ে ডিম ছাড়ার জন্য ৭০-৮০ ভাগ মা ইলিশ গভীর সাগর ছেড়ে নদীর মিঠা পানিতে চলে আসে।