নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে গৃহপরিচারিকা অন্ত:সত্বার দায়ে চারদিন ধরে কারাভোগ করছে গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিন। গত সোমবার রাতে ১৩ বছর বয়সী এই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনার অভিযোগে এরআগে মেয়ের জামাতা সজিবকে আটক করা হলেও ছেড়ে দেয়া হয়। তাই এই ঘটনাটির মধ্যে রহস্য রয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
এদিকে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাসিক ১৩নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদ। বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই ) দুপুরে এ বিষয়ে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এমন কিশোর মেয়েকে র্ধষণ করার মত অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি হওয়া দরকার। তবে অবশ্যই এর সুষ্ঠু তদন্ত দরকার। যেহেতু আমার ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি সন্দিহান হয়ে দাড়িয়েছে। এমনকি তার স্ত্রীও বিষয়টি বিশ্বাস করছেনা।
যতটুকু শুনেছি এ অভিযোগে কারাভোগকারী বৃদ্ধ সালাউদ্দিন বহুদিন ধরে অসুস্থ্য ছিল। আর তাছাড়া তার পরিবারে স্ত্রী, মেয়ে ও তার জামাতা এবং বড় ছেলের স্ত্রীও একই চারতলা ভবনে অনেকদিন ধরে বসবাস করে যাচ্ছে। যদি এমনটা হয়ে থাকে কোন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সে নিজে বলি হয়েছে, কোন পিছুটানের বাধায় সে স্বিাকারোক্তি দিয়েছে! সেক্ষেত্রে আসল অপরাধী ছাড় পেয়ে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে একই অপরাধ সহ বড় কোন অপরাধে সে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ লাঘাম টেনে ধরাও জরুরী। পাশাপাশি গৃহকর্তা সালাহ উদ্দিনও যদি অপরাধী হয় তাকেও আইন অনুযায়ী শাস্তি হোক। কিন্তু জনগনের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য মূল অপরাধীকে শনাক্ত করতে অন্ত:সত্বা নারীর সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হোক। তাহলেই উন্মোচিত হয়ে যাবে অপরাধীর পরিচয়।
অন্যদিকে এনিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরআগে স্থানীয়দের পাশাপাশি অভিযুক্ত গৃহকর্তা সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীও ডিএনএ টেস্টের জোড় দাবী জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার জামাতাকে বাঁচাতে থানায় ছুটে যান শ্বশুর সালাউদ্দিন। এরপর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। এরপর গৃহপরিচারিকা বাদীও গৃহকর্তার বিরুদ্ধে মামলা এজাহারভুক্ত করে জবানবন্দী দিলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
গৃহপরিচারিকা অন্ত:সত্বার ঘটনায় এলাকাবাসী ও গৃহকর্তার স্ত্রী সহ জনপ্রতিনিধিও আসল অপরাধী শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করার দাবী জানিয়েছে এ ব্যপারে আপনারা কোন পদক্ষেপ নিবেন কিনা জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানায়, আসলে বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এধরণের চিন্তা আমাদেরও আছে। ইতোমধ্যেই কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নিবো।