নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বৃদ্ধ গৃহকর্তা দ্বারা ১৩ বছরের কিশোরী অন্ত:সত্বা গৃহপরিচারিকার ধর্ষণের ঘটনায় এবার ডাক্তারী পরীক্ষার প্রমাণ চায় অভিযুক্ত সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম। র্দীঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিন এখনও অসুস্থ বলে তার দাবী। তবে এধরণের কর্মকান্ডের সাথে তার স্বামী জড়িত আছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। বর্তমানে স্বামীর এমন অবস্থায় রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন র্ধষণের অভিযুক্ত সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম। একমাত্র গৃহপরিচারিকার অন্ত:সত্বা সন্তানের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এর সুরাহ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। বুধবার (২৪ জুলাই) এ বিষয়ে কথা হলে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি এসব কথা জানান।
এদিকে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে এ ধর্ষণের ঘটনায় ২৪ জুলাই বুধবার জবানবন্দী দিয়েছে গৃহপরিচারিকা। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত বিকালে গৃহপরিচারিকার জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই।
সূত্র জানায়, রংপুরের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা কিশোরী গৃহপরিচারিকা আদালতকে জানিয়েছে, সে তিন বছর ধরে ওই বাড়িতে কাজ করে। বাড়ি খালি পেয়ে এসএম সালাউদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেন। পরে একই ভাবে আরও একবার ধর্ষণ করেন। কিছু দিন আগে পেটের ভেতর কিছু নড়েচড়ে উঠায় সে বুঝতে পারে বাচ্চা আসার বিষয়টি।
এর আগে ২৩ জুলাই ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিন (৬৮)। তাকে ২২ জুলাই বিকেলে শহরের ২৩/৪ আল্লামা ইকবাল রোডের নিজ বাড়ি থেকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সালাউদ্দিন এই এলাকার মৃত শেখ ফজর আলীর ছেলে।
অন্যদিকে স্বিকারোক্তি দেয়ায় র্ধষণের অভিয্ক্তু সালাহ উদ্দিনকে মুক্ত করতে সকল প্রন্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্ত:সত্বা গৃহপরিচারিকা কিশোরীর সাথে তার বিয়ে দেয়া হবে। এমন গুঞ্জন চাউর হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এছাড়াও আদালতপাড়ায় ধষির্তা কিশোরীর মা-বাবাকে সাথে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে গ্রেফতার সালাউদ্দিনের মেয়ে শুভকে। সেখানে কিশোরীর বাবা-মা কে ম্যানেজ করতে ব্যপক চেষ্টা চালাচ্ছে একমাত্র মেয়ে শুভ।
অন্যদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিনকে গ্রেফতারে এলাকায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বর্তমানে ৭ মাসের অন্ত:সত্বা বলে জানা গেছে। এ ঘটনার খবর ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে পৌছালে সোমবার বিকালে সালাউদ্দিনের মেয়ের জামাতা সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ওইসময়ই গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই জামাতা সজিব ভুক্তভোগীকে কয়েকবার হুমকিও দেয়। পরে তাকে ছুটিয়ে আনতে বিভিন্ন তদবিরে ব্যর্থ হলে জামাতাকে বাঁচাতে নিজেকে বলি দেন শ্বশুর। বিকালেই মেয়ের সাথে থানায় হাজির হন সালাহ উদ্দিন। এরপর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃদ্ধ সালাউদ্দিনকে সোমবার রাতে আটক করে পুলিশ। আর তাই নাটকীয় এই গ্রেফতারে জনমনে প্রশ্ন উঠে। সন্দেহের তীর চলে যায় মেয়ের জামাতা সজিবের দিকে।