গায়ে কাপড় থাকবে না : চন্দন শীল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল বলেছেন, খন্দকার মোশতাকের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আওয়ামী লীগের ভিতরে অনুপ্রবেশকারী, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, কোন আন্দোলন বা লড়াই সংগ্রামে দেখি নাই। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে আওয়ামী লীগের ক্রিম খাচ্ছেন, মাখন খাচ্ছেন, তারা এজেন্সি হিসেবে কাজ করছেন আমাদের প্রিয় নেতা ও আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর। আজে বাজে কথা বলছেন। এখানে দাড়িয়ে আমি আর বেশি কথা বলতে চাই না। আর নাম তো উচ্চারণই করতে চাই না। শুধু হুশিয়ার করে দিতে চাই, থামেন। আপনার রূপ চিহ্নিত হয়ে গেছে। আর আগাবেন না, গায়ে কাপড় থাকবে না।

২৩ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে চাষাঢ়া টাউন হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত প্রয়াত নেতা একেএম শামসুজ্জোহার ৩৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও নেওয়াজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষেরটা খেয়েছেন। আজ হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি ছাড়ছেন না। মসজিদ, মাদরাসা খেয়ে ফেলতে চাচ্ছেন। সত্যি কথা বললে হুমকি দিচ্ছেন। সত্যি কথা বলার কারণে খোকন সাহার নামে মামলা দিয়েছেন। সাজনু, হেলাল এদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ হয়ে আপনি আওয়ামী লীগের নামে মামলা দিয়ে, নাকে তেল দিয়ে ঘুড়ে বেড়াবেন, সেটা আমরা বরদাশত করবো না।

বাবু চন্দন শীল বলেন, নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাটি। নারায়ণগঞ্জে দৃশ্যমান যত উন্নয়ন, সব উন্নয়নের রূপকার হলো ওসমান পরিবার। নারায়ণগঞ্জে অনেক বাঘা বাঘা নেতা আছেন, কিন্তু ৭৫ এর কাউকে রাস্তায় নামতে দেখি নাই। নাম বললে চাকরি থাকবে না। অনেককে খন্দকার মোশতাকদের সমর্থন করে মিষ্টি বিলাতে দেখেছি। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা ছিলো। জনপ্রিয়তা ছিলো অনেক। আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন না। ৭৫ এ আপনি অনেক বড় ও দায়িত্বশীল নেতা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জোহা সাহেব সহ নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা জেলে গেলো। আপনি বসে বসে নারায়ণগঞ্জের বাতাস লাগিয়ে ঘুরলেন। আপনার নেতৃত্ব নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন করে যাবোই এবং উত্তরও আদায় করবো। তাদের বংশধর যখন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের কান্ডারী শামীম ওসমানকে নিয়ে উল্টো পাল্টা কথা বলে তখন আমি অবাক হয়ে যাই।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর আহবায়ক এইচ এম রাসেল এর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারী তোলারাম কলেজের সাবেক ভিপি এড.আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল ।

সমাপনি বক্তব্যে জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর আহবায়ক এইচ এম রাসেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সংসদের দাবী নারায়ণগঞ্জে ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহা চাচার প্রতিকৃতি স্থাপন করতে হবে। আমরা এরআগেও জানিয়েছি, দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা দাবী করতে থাকবো।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর সভাপতি হামদান-উর রহমান শান্ত ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম সংসদ এর সদস্য সচিব জে.আর. রাসেল আহম্মেদ এর  সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড.খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস জাকিরুল আলম হেলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.ওয়াজেদ আলী খোকন (পি.পি), বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো.জুয়েল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুক্ত বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়াম্যান মেহেদী হাসান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডিপুটি কমান্ডার এড.নুরুল হুদা, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস উদ্দিন ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক নেতা ও ব্যাংক কর্মচারীর সভাপতি আব্দুল কাদির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাফায়েত আলম সানি সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীরা।

add-content

আরও খবর

পঠিত