নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি, শেখ আরিফ ) : দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বন্দর রেললাইনের অদূরে ষ্টেশন মাষ্টারের বাড়ির বিপরিত পাশ ঘেঁষে উত্তর কলাবাগ গাউছিয়া নামে খ্যাত বিকল্প ভ্রাম্যমান মার্কেটটি। মার্কেটটি সপ্তাহে ১দিন বসে।
জানা যায়, মার্কেটটি প্রায় ২ বছর আগে বিএম ৯২ ব্যাচ প্রাক্তন ছাত্র সংগঠনের বন্ধুরা মিলে প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেছিল। পরে তারা রুপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটের কয়েকজন কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করে এই জমিতে কিছু কিছু দোকান বসানোর পরিকল্পনা করে। প্রথম দিকে দোকানীরা লস গুনলেও বর্তমানে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে মার্কেটটি। সম্প্রতি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে পছন্দের জিনিসটি কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। এই মার্কেটে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ যার যার সামর্থানুযায়ী কেনাকেটা করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে লক্ষ করা গেছে, বন্দর রেললাইনের অদূরে ষ্টেশন মাষ্টারের বাড়ির বিপরিত পাশ ঘেঁষে উত্তর কলাবাগ প্রবেশ পথেই একটি পুকুরের উপর বাশের কঞ্চি দিয়ে সরু সাকু পেরুলেই ৬০ শতাংশ জায়গা বিস্ত্রিত গাউছিয়া নামে খ্যাত বিকল্প এ ভ্রাম্যমান মার্কেটটি। মার্কেটটিতে ক্রেতারা তার পছন্দের জিনিসগুলো হাতের নাগালে থাকায় দেদারসে বিক্রিও হচ্ছে পাশাপাশি ক্রেতারাও খুব খুশি। এখানে প্রায় দুই শতাধিক দোকান বসে। বেড়া ও প্যান্ডেল দিয়ে ভ্রাম্যমান এসব দোকানে বেচাকেনা হচ্ছে খুব। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার এলেই ওই মার্টেটটি বেশ জমজমাট থাকে। প্রতি দোকানীরা মূল মালিককে প্রথম অবস্থায় অগ্রীম ১০ হাজার টাকা দিয়ে দোকান বসায় এবং বিদ্যুৎ বিলসহ খাজনা দিতে হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
গাউছিয়া নামে খ্যাত বিকল্প মার্কেটটিতে ছেয়ে গেছে মেয়েদের শাড়ী ও বিছানার চাদরের কাপড়ে। এগুলোর চাহিদা হাতের নাগালে থাকায় নারী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা যায়। বাহারী থ্রী পিস ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা ও জামদানী-বেনারসী শাড়ীও স্বল্পমূল্যে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। প্রতিটি শাড়ী ৮শ থেকে ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে শাড়ী এখন কম বিক্রি হলেও মেয়ে ও শিশুদের বোরখা এখন ৩ শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রির খুব হিরিক পড়েছে।
বিক্রি কেমন চলছে এমন প্রশ্নে প্রতিবেদককে বাবুর হাটের এক থ্রী পিস ও বিছানার চাদর বিক্রেতা বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতরে একদিনে ৩ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন ঈদ ভাঙ্গা বাজারে এক দিনের বিক্রি দাড়িয়েছে ১৫ হাজার টাকায়। প্রতি থ্রী পিস ৩শ থেকে শুরু করে ৭শ টাকা ও বিছানার চাদর ১শ ৩০ টাকা গজ বিক্রি হচ্ছে। এখানকার বিপণি বিতান গুলো সরগরম হয়ে আছে ক্রেতা আর বিক্রেতার দর কষাকষিতে। এখানে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জিনিসটি কিনতে পেরে সব শ্রেণির মানুষই খুশি।
মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ বিক্রেতা সোনারগাঁয়ের লিটন মিয়া জানান, এখানে মেয়ে ও শিশু ক্রেতাদের ভীড় বেশি হয়। মেয়েরা শহরের বড় বড় দোকানে গিয়ে যে ব্যাগ ৫শ টাকায় কিনতে হয় সেটা এখান থেকে ১ থেকে দেড়শ টাকায় পাচ্ছে। তাই তারা এই স্বল্পমূল্যে এখান থেকে কিনতে বেশি আগ্রহ পাচ্ছে।