গলাচিপায় র্নিমাণ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলেও ধামাচাপা দিলো ঠিকাদার হিরো

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : শহরের গলাচিপায় একটি নির্মাণ ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় সাইদুল হোসেন। গত ১৮ই আগস্ট শুক্রবার আশংকাজনক অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎিসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। তবে এ ঘটনার পরে বিষয়টি ভালো আছে বলেই জানায় ঠিকাদার হিরো আলী মীর। ঘটনার পর থেকেই বেশ উত্তেজনা চলছিল এলাকা জুড়ে। কিন্তু মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে যেন মরিয়া হয়ে পিছু লেগেছিল গলাচিপায় নির্মণাধীন ভবনের ঠিকাদার ও আজমেরী বির্ল্ডাসের কর্ণদার হিরো আলী মীর।

এ ব্যাপারে ঘটনার পরবর্তী সময় থেকে ভবনটির ঠিকাদার হিরো আলী মীর কে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে একাধিকবার কথা বললে ভালো আছে, সুস্থ্য আছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেই জানায় তিনি। কিন্তু স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায় ওই শুমিকের মৃত্যু ঘটেছে এবং তার মরদেহ গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানায় তাঁর নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে সাইদুল হোসেন (২২) কে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখানে এই তরুণ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও ভবনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ ব্যপারে কাউকে কিছু না বলার নির্দেশ দেয়। এবং শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রেখে এখান থেকে দূরে সরে থাকতে বলা হয়। তথ্য নিশ্চিত করতে ওই নির্মাণাধীন ভবনে গেলে শ্রমিকদের কাউকে দেখা যায়নি। এবং সেখানে তাদের থাকার জন্য অস্থায়ী ঘরটিতে শ্রমিকদের কাপড় ও বেগ গুলো অগুছানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে করে খুব সহজেই বুঝাই যাচ্ছিল, যা কিছু যে অবস্থায় ছিলো তা সেভাবেই রেখে তারা সেদিন থেকে আর আসেনি।

তবে এতো বড় একটি ঘটনার পরে এ বিষয়ে তারাঁ থানায় যোগাযোগ করে পুলিশকে অবহিত করাটা জরুরী মনে করেনি। এবং শ্রমিকদের এ ধরনের বিষয়ে হিরো আলী মীর খুব পারদর্শী বলে স্থানীয়রা জানায়। আর এভাবেই পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকে ধূলা দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকতে পারে বলে হিরো আলী মীরের কর্মকান্ড নিয়ে তদন্ত করা উচিৎ বলে মনে করেন স্থানীয়রা। যার কারণে এ র্দূঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারের আর্তনাদ নিরবেই চাপা পড়ে গেল।

স্থানীয়দের অভিযোগ ভবনটির নির্মাণ কাজটি করা হচ্ছিল সর্ম্পূণ অনিয়মতাতিন্ত্রকভাবে। এই ভবনটি ৬তলা পুরো নির্মাণ হলেও এটা অনুমতিবিহীন। তাছাড়া যে র্নিমাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এর প্রধান কারনই হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফলতি। র্নিমাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হয়না নুন্যতম সেফটি হেলমেট। বেশ কয়েকবার নির্মাণ কাজ চলাকালে উপর থেকে ইট ও ভারি বস্তু পড়ে অনেক পথচারী নিলা ফুলা জখমও হয়েছে। তবে এ ব্যপারে ভবন র্কতৃপক্ষকে অবহিত করলেও তারাঁ কোন ভ্রুক্ষেপ ও করেনি।

উল্লেখ্য, নির্মানাধীণ ভবন থেকে পড়ে গিয়ে সাইদুল হোসেন (২২) নামে একজন তরুণ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। গত ১৮ই আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় গলাচিপা এলাকায় এ র্দূঘটনাটি ঘটে। আহত সাইদুল হোসেন গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার রফিক বেপারীর ছেলে। এ ঘটনার পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় নরায়ণগঞ্জ ৩ শত শয্যা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করে।

এ ব্যপারে রাজমিস্ত্রী সবুজ জানায়, প্রতিদিনের মত সাইদুল এখানে কাজ করতে আসে। আমাদের বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করার কথা ছিলো। তবে কিছু কাজ বাকি থাকায় হিরো সাব কাজ শেষ করে যেতে বলে। রাতে ঢালাই কাজ করার সময় হঠাৎ পড়ে যায় সাইদুল। এরপর আমারা প্রায় ১০জন শ্রমিক তাকে তৎখনাত ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর ডাক্তার তাঁর অবস্থা খারাপ বলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আব্দুল মতিন জানায়, অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় আমারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দিয়েছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত