নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে প্রেরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন মহানগর বিএনপি। ২২ই নভেম্বর সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহজ্ব এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এ্যাড. রফিক আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, সাধারণ সম্পাদক আয়সা আক্তার দিনা।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, আওয়ামী সরকার জনগনের সরকার না তারা রাতের আধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। শুধু তাই নয় রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা আকড়ে আছে। আজ সর্বক্ষেত্রে দলীয় করন করে রেখেছে। আওয়ামীলীগ এখন আমলালীগে পরিনত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের আকাশ ছোয়া উর্দ্ধগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস। আদালতকে শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার করছে। যার ফলে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এই ভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
আমাদের নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া গুরুত্বর অসুস্থ তাকে মিথ্যা মামলা থেকে নি:শর্তে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠাতে হবে। নতুবা এর পরিনতি হবে খুব ভয়াবহ।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ক্ষতার লোভে তারা দেশের জনগণকে মানুষ মনে করছে না। যখন যেভাবে খুশি দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি করে তা জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। আজকে মানুষের বাক-স্বাধীনতা নাই, ভোটাধিকার নাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। তাদের মুখে শুধু উন্নয়নের বুলি এতোই যদি উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে আপনাদের এতো ভয় কেন।
বর্তমান আওয়ামী সরকারের এতোই নাজুক অবস্থা যে তারা জনগন থেকে শুরু করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পায়। তাদের অপকর্ম ডাকতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছে। আজকে আইসিটি আইন দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হাত পা বেধে ফেলেছে। তাদের এই নয়া আইনের শিকার হয়ে বহু সাংবাদিক কারাগারে আছে। তাদের মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জের সুশিক্ষিত তরুণ, সৎ সাহসী, মেধাবী ও নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক নেতা এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন। যাকে এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। আমরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে লিংকন এর মুক্তি দাবী জানাচ্ছি।
সেই সাথে অনতিবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্তে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। যদি তা না হয় তাহলে এর পরিনতি হবে আপনাদের পতন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী নুরু উদ্দিন, আয়সা সাত্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাক আহমেদ, সহ-প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম সজল, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়াজী, মহানগর বিএনপি নেতা হারুন শেখ, আল-আরিফ, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রানা মুজিব, যুগ্ম-সম্পাদক জুলহাস, মিঠু, ফয়েজ উল্লাহ সজল, তাওলাদ হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ প্রধান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম-সম্পাদক নাহার সুলতানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দীপালী আক্তার,সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক মিনা আক্তার, মহানগর ছাত্র দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, আকাশ আহমেদ বাছির সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।