নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : নগরির খানপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাদল ঘোষ (৫০) কে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম সহ স্বর্নের চেইন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার ২রা জুলাই নগর খানপুর ঘোয়ালপাড়া এলাকায় ঘোষ বাড়িতে এই ঘটনায় বাদল সহ তার পরিবারের আরো দুই সদস্য আহত হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বাদল ঘোষ নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ ব্যপারে আহত বাদলের ছেলে সজল ঘোষ বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বাদি সজল ঘোষ (২৮), পিতা: বাদল ঘোষ। সাং- নগর খানপুর, ঘোষ বাড়ি। থানা ও জেলা: নারায়ণগঞ্জ।বিবাদী ১। মিঠু ঘোষ (৩০) পিতা: রতন ঘোষ, ২। রতন ঘোষ (৫৫) পিতা: জগদ্বীশ ঘোষ, ৩। বিশ্বনাথ ঘোষ (৬০) পিতা: শ্যাম ঘোষ, ৪। শংকর ঘোষ (৪৫) পিতা: জগদ্বীশ ঘোষ একই এলাকার থানা ও জেলা: নারায়নগঞ্জ দ্বয়ের সহিত জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় আছে। আর এই র্পূব সূত্রের জের ধরে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বিবাদীগণ আমাদরেকে অত্যাচার করে যাচ্ছিল। গত ২ই জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় বিবাদীরা ইচ্ছামত উচ্চ স্বরে সাউন্ড বক্স বাজায়। এর প্রতিবাদে কোন কিছু বলতে গেলে খারাপ আচরণ করে। আর এই সূত্রপাতে আমার বাসার সামনে এসে বিবাদীরা আমাদের উপর, হকিস্টিক, রড ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
সজল ঘোষ অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ২নং বিবাদী রতন ঘোষ আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর ভাবে জখম করে এবং অনান্য বিবাদীরা এলোপাথারীভাবে কিল-ঘুষা, লাথি মেরে সাধারন জখম করে। আমি এগিয়ে আসলে উপরোক্ত বিবাদীগন কাঠের লাঠি ও বাশঁ দিয়ে আমাকেও এলোপাথারী ভাবে পিটায়। অমার মা আন্না রানী ঘোষ বিবাদির কাছ থেকে অমাদেরকে বাচানোর চেষ্টা করলে বিবাদীরা অমার মা ও ছোট ভাই সজিব ঘোষকেও পিটিয়ে অহত করে। ১নং বিবাদী মিঠু ঘোষ আমার বাবার গলায় থাকা ২ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা ও নগদ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি সহ জীবন নাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় বাদল ঘোষকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় আহত বাদল ঘোষ এর বাম চোখের উপর রড দিয়ে আঘাত করার ফলে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে ও মাথায় আঘাত করায় ৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আজগর জানায়, আমারা অভিযোগটি পেয়েছি। সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রার একটি উৎসব থাকায় সেখানে দায়িত্বরত থাকায় ব্যস্ত ছিলাম। আমরা খুব শিঘ্রই বিষযটি তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনব।