নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : কনস্টেবল পদ নিয়ে বিতর্কিত ও আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করে যখন প্রশাসনের ভেতরে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছিল তখন সেই বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সদ্য যোগদানকারী নারায়ণগঞ্জের এসপি জায়েদুল আলম। গত ২৯ ডিসেম্বর এসপি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অনেক বিষয়ে কথা বলেন জায়েদুল ইসলাম।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি পুলিশের কনস্টেবল নিয়েও বক্তব্য রাখেন। বলেন, পুলিশে ভালো পোলা ভর্তি করে কনস্টেবলে? সবাই কয় জন্মের পরে আমার পোলা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাইবো। কেউ তো কয় না পুলিশ কনস্টেবল বানাইবো। এইটা বলে? তাইলে কোনটা পুলিশ কনেস্টেবল হয়? যে পোলা আইয়ে পাশ বা মেট্রিক পাশ করছে। এই ঘুরে বেড়ায় বাপ মায় টিকতে পারে না। তখন এমপি মন্ত্রী এসপি ডিসি কারো ঘুষ দিবো কি করবো না করবো তখন পুলিশে ঢুকায়। কারণ এইটা শয়তান এইটারে পুলিশে ঢুকাইতে হইবো। এইটারে ঘরে রাখতে চায় না। এইতো অবস্থা? কেউতো কয়না আমার ছেলে পুলিশে গিয়ে মানুপষর ভালো সেবা করবে। এইটা কেউ বলে? সেখান থেকে আইনা ট্রেনিং দেওয়াইয়া এইগুলারে ভালো করা এত সহজ না। সে কারণে আমি বলতে পারব না যে আমার সব পুলিশ ভালো। বাংলাদেশে ৯৯জন লোক আমরা আইন ভাঙতে চাই। সেখানে আইন কিভাবে মানাবো?
এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভেতরে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। কনস্টেবল থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যেও চলে ক্ষোভ হতাশা।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন এসপি। তিনি লিখেন, আমি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, পুলিশ সুপার হিসাবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদানের পর এক মতবিনিময় সভায় আলোচনায় ফোর্স প্রসঙ্গে কথা বলি। আমার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। আমার বক্তব্যে আমার প্রিয় পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য কষ্ট পেলে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এ ব্যাপারে এসপি জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।