ক্লাস্টার নারায়ণগঞ্জের মার্কেটগুলোতে গাদাগাদি করেই চলছে বেঁচাকেনা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : করোনা প্রার্দুভাব লাভে প্রথমে ক্লাস্টার ও পরে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত জেলা নারায়ণগঞ্জের মার্কেটগুলোতে শুরু হয়ে গেছে বেঁচাকেনা। স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে সব ধরনের মার্কেট ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার অনুমতি পেয়ে বেশ উচ্ছাসিত অনেকেই। আবার কোন কোন সচেতন দোকান মালিক দোকান খুলতেই আগ্রহী হচ্ছেন না। দীর্ঘ একমাস পর গতকাল সকাল থেকেই অধিকাংশ মার্কেটের দোকান খোলা শুরু হয়ে গেছে। এতে করে পাল্টে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে লকডাউন মানার পুরনো সব চিত্র।

সোমবার (১১ মে) সকাল থেকে শহরের লুৎফা টাওয়ার, নিউ সমবায় মার্কেট, সায়েম প্লাজা, পানোরামা প্লাজা, মার্ক টাওয়ার, হক প্লাজা, বর্ষণ সুপার মার্কেট, সোনার বাংলা মার্কেট, হক প্লাজা, মিডটাউন শপিং কমপ্লেক্সসহ সকল মার্কেটের দোকানে ক্রেতা সমাগম দেখা যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে ক্রেতাও বাড়ছে। চলছে কেনাকাটা।

এদিকে গতকাল কালিরবাজার এলাকার বিশাল বিপনী বিতান ফ্রেন্ডস মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলায় পুলিশের হস্তক্ষেপে একপর্যায়ে দোকান বন্ধের ঘোষনা দেয় মালিক কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া এই মার্কেটটিতে দোকান অনুযায়ী মানুষের আসা যাওয়ার জন্যও নেই পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা। এতে করে অনেকটা গাদাগাদি করেই বেঁচাকেনা চলতে দেখা গেছে। এরআগে মার্কেটটিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ও সামাজিক দুরুত্ব না মানায় আইনশৃঙ্খলা বহিনী মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেও সরাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে আসন্ন ঈদকে ঘিরে বেঁচাকেনায় মার্কেটগুলোতে নেয়া হয়েছে ব্যপক প্রস্তুতী। তবে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন ও দোকান মালিক সমিতির মধ্যে বৈঠকে, দোকান মালিকেরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা সয়ংসম্পূর্ণ নয়। কোথাও কোথাও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানার দৃশ্য দেখা গেলেও কোথাও পর্যাপ্ত নয়। এতে করে করোনা ভয়াবহ ছোবলের শিকার হতে পারে নারায়ণগঞ্জবাসী, এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুদের নিয়ে মার্কেটে না আসার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতাকে তা মানতে দেখা যাচ্ছে না। অনেক মার্কেটের সামনে হাত ধোঁয়ার সাবান ও পানির বিশেষ ব্যবস্থা করা হলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কোন ব্যবস্থাই নেই। কেননা সল্পপরিসরে জায়গায় দোকান হওয়ায় গাদাগাদি করেই চলছে কেনাকাটা।

তবে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কেট মালিকরা। তবে এসও রোড, সোনা মিয়া মার্কেট, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় দোকানপাট সব খুলেছে। কিছু দোকান মালিক স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের দোকান বন্ধ রেখেছেন। তবে তা সংখ্যায় খুব কম।

নারায়ণগঞ্জ জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্জাহান বলেন, ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে চেয়েছেন তাই সকলের সিদ্ধান্ত ও সরকারের অনুমতি মোতাবেক মার্কেটগুলো খুলেছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও সংক্রমনের ঝুঁকি এড়ানো যাচ্ছে না।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহে অধিকাংশ মার্কেট খুলছে না। আশা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী মহল করোনার বিষয়টি বিবেচনা করে অন্তত মার্কেটগুলো খুলবে না। অন্তত এই মাসে না খুললে সকলের জন্য ভালো হতো। দোকানপাট খোলার মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমন বাড়ার সম্ভবনা অনেক বেড়ে গেছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত