কোরআন অবমাননাকারী হাসানুলকে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: ফতুল্লার কুতবপুরের পূর্ব দেলপাড়ায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননাকারী হাসানুলকে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বাদ জুম্মা কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসুল্লি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাসানুলের বাড়ির সামনে অবস্থান করে।

এসময় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন ও চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু অভিযুক্ত হাসানুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাড়িঘর ভাংচূড় করা থেকে বিরত থাকে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরআন অবমাননাকারীকে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাসানুলের বড় ভাই হেদায়েতুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় দেলপাড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গত বুধবার একটি ফেসবুক আইডিতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনকে অবমাননা মূলক একটি ছবি পোষ্ট করে হাসানুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। কুতুবপুর এলাকাবাসী নিশ্চিত হয় ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী ব্যক্তি দেলপাড়া এলাকার মাছ মজিবুরের ছেলে হাসানুল ইসলাম। পরে এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করে।

খবর পেয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বেশ কিছু সদস্য বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হাসানুলের বাড়িতে যায়। সে সময় হাসানুল তার বাসায় অবস্থান করছিল।

আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মজিবুর রহমান বলেছিলেন, তার ছেলে একজন মানুষিক রোগী। মজিবুরের কথায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা হাসানুলকে গ্রেফতার না করে তাদের বাড়ি থেকে চলে আসে। বিষয়টি এলাকাবাসী অবগত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এ ঘটনায় খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ পৃথকভাবে এলাকায় প্রতিবাদ ও সমাবেশ করে।

পূর্বঘোষিত শুক্রবার বাদ জুম্মা বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বের হয়ে নন্দলালপুরে বিক্ষোভসহ হাসানুলের বাড়ি ভাংচূর করতে যায়। এসময় কুতুবপুর ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন, ইন্সপেক্টর(তদন্ত) শাহজালাল, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মজিবুর রহমান, ইন্সপেক্টর (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা ও কুতবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিদের অভিযুক্ত হাসানুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। এমন আশ্বাসে বিক্ষুদ্ধ জনতা শান্ত হয়।

এলাকাবাসী আরো জানান, মজিবুরের ছেলে হাসানুল ইসলাম ভারতে লেখা পড়া করেছে। সেখান থেকে বিবিএ পাস করে ২/ বছর আগে দেশে ফিরে এসে বিয়ে করে হাসান। সম্প্রতি রুপগঞ্জে বাবা মুজিবুরের একটি ইটভাটা দেখাশুনা করছে সে।

এ ব্যাপারে কুতুবপুর ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের নেতৃবৃন্দ বলেন, কোরআন ও ইসলাম অবমাননাকারীকে কখনোই ছাড় দেয়া হবে না। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি হাসানুলকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, ধর্ম অবমাননাকারী যে-ই হউক না কেনো তাকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। যে কোন ধর্ম নিয়ে কটুক্তি সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। হাসানুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত