নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডে (সোনারগাঁ) সদস্য পদে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি প্রার্থীর মধ্যে তুমূল লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইতমধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশও পেয়েছে। তবে এ নির্বাচনকে ঘিরে সোনারগাঁয়ে জাপাকে যতটা সক্রিয় দেখা যাচ্ছে সে তুলনায় আওয়ামীলীগের অবস্থান নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বোদ্ধামহল।
জানা গেছে, উল্লেখিত ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও গত রবিবার প্রত্যহারের শেষ দিনে দুইজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আর এরপর থেকেই শুরু হয় আলোচনা-সমালেচনার ঝড়। যেখানে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীকে লড়ছেন পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম। আর তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল। এই দুই প্রার্থীর মাঝেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আলোচনা এখন সবজায়গায়।
সম্প্রতি আবু নাঈম ইকবালের জন্য জাপা এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কাবিখা দেয়ার বিনিময়ে ভোট চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে জাপা প্রার্থীকে নিয়ে স্থানীয় সংসদকে কুশল বিনিময় করতেও দেখা গেছে। যেসব স্থানে বেশীর ভাগই উপস্থিত ছিল জাপা অনুসারী জনপ্রতিনিধিগণ ও নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলটির লোক হলেও এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের জন্য উপজেলা আওয়মীলীগের কাউকে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। এমনকি দলীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকেও একত্রিত হতে দেখা যায়নি। যার কারণে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে ঘিরে কোনদিকে তাদের অবস্থান এ নিয়ে প্রশ্ন তোলছেন তৃণমূলে থাকা নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, বিগত সময় সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বিভক্তি ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা থাকায় দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার প্রার্থী সংসদ সদস্য হয়েছেন। তাছাড়া দল ক্ষমতায় থাকলেও চেয়ারম্যান নিবার্চনেও নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবী হতে দেখেছে সোনারগাঁবাসী। আর এজন্য দায়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা। তাই তারা মনে করেন সকল ভেদাভেদ ভুলে এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদকে বিজয় করতে না পারলে কলংক লেপন হতে পারে উপজেলা আওয়ামীলীগের। যার পভাব পড়বে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতমধ্যে এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় সমর্থনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বতায় চেয়ারম্যানের তালিকায় রয়েছে মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল। এছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডেও আওয়ামীলীগের প্রার্থীর জয়জয়কার রয়েছে। শুধুমাত্র এই ওয়ার্ডে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত দ্ইু প্রার্থী।