কেওঢালা টু অলিপুরা সড়কের বেহাল দশা, জনদূর্ভোগে সাধারন মানুষ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ও বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নস্থ কেওঢালা থেকে সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নস্থ অলিপুরা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কি.মি. রাস্তাটি দেড় বছর আগে সংস্কার করা হলেও এই সামান্য সময়ের মধ্যে আবারও রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।

রাস্তাটির কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১ ফুটের উপর গর্ত হয়ে ও খানাখন্দ সৃৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণের চলাচল ব্যাহত হওয়া ছাড়াও গণপরিবহণ বিকল ও দূর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে অত্র অঞ্চলের মানুষ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে অত্র রাস্তা দিয়ে সর্বদা চলাচল করছে বলে সাংবাদিকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় যাত্রী সাধারণ আরও জানান, এই রাস্তা দিয়ে নিত্য দিন প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজে গমন করে এবং প্রায় বিশ হাজার শ্রমিক আদমজী ইপিজেড, ওপেক্স সিনহা গার্মেন্টস, কাঁচপুর বিসিক, রহিম স্টিল, বন্দর স্টিল, পারটেক্স, জামালউদ্দিন টেক্সটাইল, অলিম্পিক ইন্ডা:, গাজীপুর পেপার মিলস, এসকিউ কেবলস, চৈতি গার্মেন্টস সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমের জন্য যায়।

সোনারগাঁয়ের বারদীতে অবস্থিত লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে আগত হাজার হাজার ভক্তকূল আশ্রমে পৌছানোর জন্য এ রাস্তাটকেই সহজ বলে বেছে নেয়। শাখা রাস্তা হওয়ায় এ এলাকার যোগাযোগের একমাত্র বাহন হচ্ছে রিক্সা, অটো রিক্সা ও সিএনজি। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার অনেকগুলো জায়গায় বিদ্যমান গর্তগুলোতে পানি জমে যানজট সৃষ্টি সহ যানবাহন বিকল হয়ে যায় এবং রাস্তাটি আরও ভেঙ্গে যায়। রাস্তা ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়রা নিয়মিত ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এতে কেউ কর্ণপাত করছেনা এবং সমস্যার সমাধানে কোন জনপ্রতিনিধি কোন কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেনা। রাস্তাটি আরসিসি ঢালাই ও প্রশস্ত করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে এমন খবর কয়েক বছর ধরে শুনলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেনা।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এবং সাবেক মহিলা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ব্যরিস্টার রাবিয়া ভূঁইয়া এ রাস্তা দিয়ে সোনারগাঁয়ে এসেছিলেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দের ছোঁয়া থাকা সত্বেও এ রাস্তাটি এভাবে দীর্ঘদিন প্রশস্ত ও মজবুতভাবে নির্মাণ না হওয়ায় হতবাক সবাই। এই রাস্তাটি নতুন ভাবে নির্মাণ ও প্রশস্ত করা হলে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর, সনমান্দী, বারদী ও বন্দরের ধামগড়, মদনপুর ইউনিয়নের মানুষের জন্য যোগাযোগে এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে বিশ্বাস করে এলাকাবাসী। জনগনের ভোগান্তি লাঘবে ও নিত্যদিনের এ দৈন্যদশা ধেকে পরিত্রানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অত্র অঞ্চলের সকল সচেতন মানুষ সহ সুশিল সমাজ।

add-content

আরও খবর

পঠিত