কালাপাহাড়িয়ায় রুবেল হত্যা সহ আট খুন, বিচারে বাধা এমপি বাবু

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আড়াইহাজারে একে একে ৮টি খুন হয়েছে। সর্বশেষ খুন হন পুলিশ কনস্টেবল রুবেল। সবকটি খুনের নেপথ্যে রয়েছে এমপি বাবুর অদৃশ্য হাত। এমনটাই মনে করেন আড়াইহাজার কালাপহাড়িয়া এলাকার মানুষ। মেঘনার বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করেই এসকল হত্যাকান্ড। কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় এমপি বাবুর আচরনে এমনটাই ফুটে উঠে।

সভায় উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, গত শনিবার আড়াইহাজার মাজহারুল ইসলাম অডিটেরিয়ামে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের র্বধিত সভা আহবায়ন করে এমপি বাবু। সভায় ডেকে আনেন খুন হওয়া নিহত ডিবি পুলিশ রুবেলের পিতা রুপ মিয়া মেম্বারসহ তার আত্বীয় স্বাজনদের। রুবেল হত্যার বিচার পাওয়ার আশায় তারা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত হন।

সভায় আওয়ামীলীগ নেতা জালালউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, এমপি সাহেব দু:খ ভারাক্রান্ত মনে বলতে হয় এই পযন্ত কালাপাহাড়িয়ায় ৮টি খুন হয়েছে একটি খুনের বিচার ও হয়নি। দারোগা নাসির সিরাজীও খুন হল তার কোন বিচার হয়নি। এ সকল খুনের বিচার না হওয়ায় সর্বশেষ পুলিশ সদস্য রুবেল ও খুন হল। আর সকল খুনের মূল কারন অবৈধ বালু উত্তোলন।

এ সময় এমপি বাবু জালালের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে দমক দিয়ে বলেন, আপনারদেরকে কি রুবেলের খুনের বিচার চাওয়ার জন্য ডাকছি। দারোগা নাসির সিরাজীকে কি আমি খুন করছি? দারোগা নাসির সিরাজী পানিতে পড়ে মারা গেছে। রুবেল হত্যার সাথে স্বপন কিভাবে জড়িত বা কেউ খুন নিয়া বক্তব্য দিবেন না।

এহেন আচরণে অনেকটাই বিচলিত হয়ে উঠে উপস্থিত সকলেই। কালাপাহাড়িয়াতে এই পযন্ত ৮ টি খুন হয়েছে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত কোনটার বিচার হয়নি। আর এদিকে তাঁর এমন উত্তেজেনাকর মনোভাবের কারনে কালাপাহাড়িয়ার জনগন মনে করেন প্রতিটি বিচারের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এমপি বাবু।

এলাকাবাসি বলেন, এমপি বাবু বালু থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা পান। আর অবৈধ বালু উত্তোলন এমপি বাবুর মদদেই হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম নদীতে ভেঙ্গে গেলেও এমপি বাবু কোন কনপাত করেন না। আর অবৈধ বালু উত্তোলনের মূলহোতা স্বপন চেয়ারম্যান। এমপি বাবুর অবৈধ আয়ের ফলে স্বপন চেয়ারম্যানের পক্ষে গোপনে অবস্থান নিয়েছেন। লোক দেখানো বা সমালোচনা এড়াতে মায়া কান্না করে এমপি বাবু নিহত পুলিশ কনস্টেবল হত্যার বিচার চেয়েছিলেন। এমনিক রুবেলের বাবাকে ধরে কান্নাকাটি করেছেন।

অপর দিকে স্বপনকে বাঁচানোর জন্য পুলিশকে চাপ দিচ্ছেন। বাবু এমন দিমূখী নীতি অবলোকন করেছেন নয়নাবাদ গ্রামের রিকসা চালক রহিজউদ্দিনের ছেলে ছাত্র নাজমুল হত্যা নিয়ে। নয়নাবাদ গ্রামে নাজমুলের বাড়িতে গিয়েও হত্যার বিচার চেয়ে মায়া কান্না করেছেন। তারপরে আবার আসামীদের বাড়িতে গিয়ে গত ৭ জুলাই জামিন করিয়ে সবার বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত