নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা আরো জোরদার করতে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকদের থাকা খাওয়া, যাতায়াত ব্যবস্থা সহ আনুসাঙ্গিক বিষয়াদির সার্বিক ব্যবস্থা করতে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। পর্যায়ক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকের জন্যও একই ভাবে উদ্যোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে তিনি ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা চাইবেন বলেও উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে খানপুর হাসপাতালের চিকিৎসদের জন্য ওই অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) সেলিম রেজা, ও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইমারন সিদ্দিকি এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক শামসুদ্দোহা সঞ্চয় এর কাছে ১০ লাখ টাক নগদ এবং ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, পরিচালক জিএম ফারুক, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আসাদুজ্জান সহ অন্যান্যরা।
এ সময় এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীদের যারা চিকিৎসা দিবেন সেই চিকিৎসকরাই সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এটা শুধুমাত্র তাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল সামগ্রীর সার্পোট না পাওয়ার কারনে। এটা অত্যন্ত দু:খজনক। কারন ডাক্তারাই যদি আক্রান্ত হয়ে পড়ে তাহলে আমার নারায়ণগঞ্জের মানুষ চিকিৎসার জন্য কার কাছে যাবে। আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ডাক্তারদের প্রয়োজনী সকল কিছুর ব্যবস্থা করার জন্য এই অর্থ প্রদান করলাম। যা দিয়ে হাসপাতালের ৬০ নার্স এবং ৪০ জন ওয়ার্ড বয় সকলের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমীতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে উনারা নিরাপদ থেকে ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবায় সহযোগীতা করতে পারেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ডাক্তারদের যাতায়াত এবং রোগীদের রক্তের নমুন সংগ্রহ করে ডাক্তার পরীক্ষা করতে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনে রিকিউজিশন করে গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে। তবে রিকিউজিশন করা গাড়ির অবশ্যই ভাড়া প্রদান করতে হবে। যাতে করে ওই গাড়ি চালকের সংসার চলতে কোন সমস্যা না হয়। এতে করে রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল ও দ্রুত পাওয়া সম্ভব হবে।