নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমনের লাশ আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে ৯ মাসের মাথায় উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (২০ মে) দুপুরে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রুবেল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রূপ মিয়া মেম্বারের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান উল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে ওই পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
এ সময় আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. খালেদা নাজনীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মামলার বাদী কামাল হোসেন, নিহত রুবেলের বাবা ইউপি সদস্য রুপ মিয়াসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সোলেমান মিয়া জানিয়েছেন, সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রুবেল মাহমুদ সুমনের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসে। এ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় নিহতের শরীরে ৭টি আঘাত রয়েছে। অথচ সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ করেছে ১৫টি আঘাত। এর মধ্যে ডাক্তার ৮টি আঘাত বাদ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিয়েছে। এতে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঈদের আগের দিন কোরবানির পশুর হাটের ইজারার টাকা ভাগবাটোয়ারা ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলা কালাপাহাড়িয়ায় ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমন নিহত হন। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন, যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কালামসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হাতে ন্যস্ত হয়। ডিবি এ পর্যন্ত কালামসহ এ মামলার মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।